খালেদ মাসুদ, তালতলী (বরগুনা)

  ২৯ মার্চ, ২০২৪

বরগুনার তালতলী

১৭ বছর পর খালে কাঠের সাঁকো পেল গ্রামবাসী

তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি হয় সেতু

বরগুনার তালতলীর শারিকখালী খালের ওপর পাকা সেতু ভেঙে পড়ার পর নিজস্ব অর্থায়নের সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির। এলাকাবাসীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ১৫০ ফুট দীর্ঘ বাঁশ-কাঠের সাঁকোটি নির্মাণ করে দেন তিনি।

উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শারিকখালী ও দক্ষিণ নলবুনিয়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত শারিকখালী খাল। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে ভেঙে খালের ওপরের সেতুটি ভেঙে পড়ে যায়। এর পর ১৭ বছর ধরে পূর্ব শারিকখালি, পশ্চিম শারিকখালী, দক্ষিণ শারিকখালি, মধ্যে শারিকখালি ও নলবুনিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার করতেন।

শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ওলি আহমেদ বলেন, সেতু না থাকায় আশপাশে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসায় দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এছাড়া উৎপাদিত ফসল সময়মতো ঘরে তুলতে পারত না, আবার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতো।

স্থানীয় বাসিন্দারা কৃষ্ণ ধোফা বলেন, ‘খালে প্রতিদিন ৫ শতাধিক মানুষ ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হত। এখন এই সাঁকোটি হওয়ায় স্বস্তিতে মানুষ পারাপার হতে পারবে। আমরা দ্রুত এখানে একটি পাকা সেতু চাই।

করাইবাড়িয়া টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী সুদেব দাস বলেন, আগে ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেক সময় বই-খাতা ভিজে গিয়েছে। এখন আর এমন হবে না। এখন নিরাপদে সেতু দিয়ে পার হতে পারব।

জানতে চাইলে তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির বলেন, ‘শারিকখালী খালে এলাকাবাসী ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে দেখে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছি। এতে মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close