আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ২৩ মে, ২০২৩

আমতলীতে ৪০টি সেতু চলাচলের অনুপযোগী

বরগুনার আমতলীতে প্রায় ৪০টি সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত ৪০টি সেতু ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া উপজেলাটিতে ১০টি সেতু ভেঙে পড়ে আছে।

সেতু অকেজো হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে রয়েছে ওই সব সেতু এলাকার লোকজন। সেতুগুলো নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। এরপরও এসব সেতু সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে না।

আমতলীর চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান বলেন, আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সেতু ভেঙে পড়ে আছে। এসব সেতু দ্রুত নির্মাণের জন্য এলজিইডির প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলব।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে এলজিইডির ‘হালকা যান চলাচল প্রকল্পের’ অধীনে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে আমতলীর ৪০টি সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এলাকার লোকজন জানান, নির্মাণের পর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়ায় সেতুগুলো জরাজীর্ণ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডর ও ২০০৯ সালে আইলাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুযোর্গে অধিকাংশ সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেতুগুলোর সিমেন্টের স্লিপার, হাতল ও অবকাঠামো ভেঙে পড়ে। অনেক স্থানে সেতুর হাতল, অ্যাঙ্গেলসহ মালামাল চুরি হয়ে যায়।

কয়েক দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া, হলদিয়া হাট, আঠারোগাছিয়া, তাফালবুনিয়া ও কালামপুর মরিচবুনিয়া এলাকার সেতুগুলোর হাতল, অ্যাঙ্গেল ও মেঝেতে ফাটল ধরেছে। গুলিশাখালী উত্তর ডালাচারা এলাকার মোল্লা বাড়ির সামনের সেতুটির নিচের লোহার কাঠামোয় মরিচা ধরেছে। বাইনবুনিয়া নদী ও দক্ষিণ তক্তাবুনিয়ার বাঁশবুনিয়া খালের ওপরের সেতু দুটি ভেঙে পড়ে আছে। এসব ফাটলে কাঠের গুড়ি দিয়ে মেরামত করা হয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সেতুগুলো পুনঃনির্মাণের জন্য

এলজিইডি বরগুনা ও ঢাকা অফিসে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশ্রাফুল আলম বলেন, ব্যবহারের অনুপযোগী ও ধসে পড়া সেতুগুলো পুনর্নির্মাণের জন্য এলজিইডির কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এসব সেতু জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণ করা দরকার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close