চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৩ জানুয়ারি, ২০২২

চার বছরেও সংস্কার হয়নি ধসে যাওয়া সংযোগসড়ক

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মজাইটারী-নয়াবস এলাকায় বন্যায় সেতুর সংযোগ সড়ক ধসের চার বছরেও সংস্কার হয়নি। গ্রামীণ কাঁচা সড়কের দুই গ্রামের মাঝে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সেতু। সড়কসহ সেতুটি নির্মাণের পর এলাকাবাসী স্বস্তির নি:শ্বাস নিলেও ২০১৭ সালের বন্যায় তা ভোগান্তিতে পরিণত হয়। বন্যায় সেতুর দুইপাশের মাটি সরে সেতুটি ভেঙে যায়। এতে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে সেতুটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সেই থেকে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন দুই গ্রামের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা জানান, সেতুটি নির্মাণের তিন মাসের মাথায় বন্যায় সেতুসহ দুই পাশের মাটি ভেঙে পড়ে। তখন থেকেই এমন অবস্থায় পড়ে থাকলেও আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে পাঁচ বছর ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মজারটারী ফরিয়ার মোড় হতে নওরারপাড় পর্যন্ত রাস্তায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নয়াবশ এলাকার জেলহক মিয়া বলেন, ‘অনিয়মের করে সেতুটি নির্মাণ করায় এই অবস্থা হয়েছে। অনেক কষ্ট করে এখন চলাচল করতে হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে কোন গুরুত্ব নেই। তাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই। এদিকে মজাইটারী এলাকার জামেনা বেগম বলেন, সেতু তৈরির কয়েক মাসের মধ্যে ভেঙে পরায় চলাচল করা যায় না। আমাদের দাবী দ্রুত সেতুটি ভালো করা।’ স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন, জামেলা বেগমসহ কয়েকজন বলেন, ‘শুকনা মৌসুমে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টি আর বন্যার সময় কষ্টের সীমা থাকে না। সেতুটি ভেঙে পড়ায় এই সড়কে কোনো যানবাহন আসে না। ফলে যতদিন যাচ্ছে ভোগান্তি বাড়ছে।’

এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং জনগণ যেন ভোগান্তিতে না থাকে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close