সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৮ জানুয়ারি, ২০২০

মধ্যপ্রাচ্যে রফতানি হচ্ছে সিংগাইরের গাজর

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে গাজর চাষ হয়েছে। উৎপাদনের সঙ্গে ভাল মূল্যে পেয়ে খুশি চাষিরা। এতে করে দিন দিন কৃষকদের মাঝে গাজর চাষে আগ্রহ বাড়ছে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়াতে কিছু কৃষকের বীজ তলা নষ্ট হয়ে গেলেও পুনরায় বীজ বপন করলে বাম্পার ফলন হয়। এছাড়া দেশের গন্ডি পেরিয়ে এ অঞ্চলের গাজর মধ্যেপ্রাচের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে।

জানা গেছে, উপজেলার জয়মন্টপ, দশানি, খাশের চর, চরদূর্গাপুর, চান্দহর, তালেবপুর, বায়রা, ধল্লা এলাকার মাটি গাজর চাষের উপযোগী। বিধায় প্রতিবছর এ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব এলাকার গাজরের গুনগতমান ভাল হওয়ায় দেশের গন্ডি পেরিয়ে মধ্যেপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বীজের দাম, শ্রমিকের মজুরি, চাষাবাদের খরচ বেশি গুনতে হচ্ছে চাষীদের। তবুও এক বিঘা জমিতে পঁচিশ হাজার টাকা খরচ করে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। যা খরচের দ্বি-গুন। এ লাভ ৩ মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। তাই কৃষকদের মধ্যে প্রতিবছর গাজর চাষের আগ্রহ বাড়ছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর সর্বোচ্চ ১৩৩৫ হেক্টর জমিতে গাজর চাষ হয়েছে। এ এলাকায় দুই জাতের গাজর চাষ হয়ে থাকে। এরমধ্যে টাকি হাইব্রিড জাতের গাজর চাষ বেশী। তাছাড়া এ উপজেলার মাটি বেলে দোঁ-আশ হওয়ায় গাজর চাষের জন্য খুবই উপযোগী। যার জন্য গাজর ফলন ভাল হয়ে থাকে।

চর আজিমপুর এলাকার গাজর চাষি মো. সালাউদ্দিন, চরদূর্গাপুরের নাজিমউদ্দিন, আলমগীর হোসেন, জবেদালী, আব্দুল আজিজ, তালেবপুর এলাকার মো. সমশের আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। মোটামুটি ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে চাষিরা। তাই গাজর চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তবে কৃষি অফিস থেকে সহযোগীতা না পাওয়ার কথা বলেন চাষীরা। মৌসুমের শুরুতে কৃষি অফিস থেকে যদি বীজের সহযোগীতা পেত তাহলে কৃষকরা উপকৃত হত। এমনকি গাজর চাষে আরও আগ্রহ বাড়তো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. টিপু সুলতান স্বপন বলেন, এ উপজেলার অধিকাংশ এলাকার মাটি বেলে দোঁ-আশ। আর বেলে দোঁ-আশ মাটিই গাজর চাষের উপযোগী। যার জন্য এ এলাকায় প্রতি বছর গাজরের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। গত বছরের চেয়ে এবার ৫ শতাংশ বেশি চাষ হয়েছে। আমরা কিছু চাষিদের প্রশিক্ষন দিয়ে থাকি। এমনকি ফিল্ড অফিসাররা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে থাকে। গাজরের বীজ দেশে উৎপাদন হয় না। দেশের বাহিরে থেকে ডিলাররা আমদানি করে থাকে। গাজরের বীজ নিয়ে সরকারি কোন বরাদ্দ নেই। তাই আমরা কৃষকদের সহযোগীতা করতে পারি না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close