বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

বেতাগীতে শ্রেণিকক্ষে শিশু নির্যাতন ১৫ হাজার টাকায় সমঝোতা!

বরগুনার বেতাগীতে শ্রেণিকক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ১৫ হাজার টাকায় সমঝোতা করার খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার বিকালে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মধ্যস্থতায় এ সমঝোতা করা হয় বলে জানা গেছে। এদিকে, এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এমএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না, তবে এ ধরনের অপরাধ মিমাংসাযোগ্য নহে। আমাকে জানালে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিব।’

প্রসঙ্গত, গত বুধবার উপজেলার পূর্ব বুড়ামজুমদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজী ক্লাশে পড়া না পারায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মহসীনকে নাকে খত দেওয়ার নির্দেশ দেন শ্রেণি শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। ওই শিক্ষার্থী নাকে খত দিয়ে নির্ধারিত স্থানে যেতে না পারায় তার পিছনে লাথি দেয় শিক্ষক। পরে শিক্ষার্থীর পিতা রুহুল আমিন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল টোল ফ্রি হেল্পলাইন ১০৯ নম্বরে ফোন দেন। পরে ইউএনও রাজীব আহসান ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলমকে নির্দেশ দেন। শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থলন পরিদর্শন করে সতত্যা পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

জানা গেছে, সোমবার বিকালে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের কার্যালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা ভূক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থী মহসীনের পিতা রুহুল আমিনকে দেওয়া হয়। এ সময়, এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না মর্মে অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেন শিক্ষা অফিসার।

পূর্ব বুড়ামজুমদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজমল হোসেন বলেন, আমরা উভয় পক্ষের সাথে একত্রে বসে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না।

শিক্ষার্থীর পিতা রুহুল আমিন বলেন, ছেলের চিকিৎসার জন্য আামাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি শিক্ষার্থীর পরিবারকে কিছু টাকা দিতে বলেছি। ইউএনও রাজীব আহসান বলেন, এ ঘটনা মিমাংসা করার মত বিষয় নয়। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close