রংপুরের পীরগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে পাঁচ দিন ধরে ঘরে আটক রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারীসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণে শিকার ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানা পুলিশের কর্মকর্তা সরেস চন্দ্র। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ পরির্দশক মো. আব্দুস সুকুর মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, গত রোববার ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলার চতরাহাট এলাকা থেকে শিরীনা বেগম (২৪) ও মাহফুজার রহমান মাফু (২৮) নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাদেররক জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শিরীনা বেগম চতরাহাট এলাকার এমদাদুল হক বকুলের স্ত্রী ও মাহফুজার ছ্যানাগাড়ী-রঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারী স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে চতরা ধাপেরহাট টেম্পু স্ট্যান্ড সংলগ্ন এমদাদুল হক বকুলের ভাড়া বাসায় টয়লেট করতে যায় ওই স্কুলছাত্রী। এরপর, তাকে বাড়ি ফিরতে দেয়নি অভিযুক্তরা। ঘটনার চার দিন পর গত বুধবার ওই ছাত্রীর মাকে মুঠোফোনে শিরীনা নামের এক নারী তার মেয়েকে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বলেন। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে জানতে পারেন তার মেয়েকে আটকে রেখে কয়েকব্যক্তি নিয়মিত ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে চতরা গ্রামের আলমগীর হোসেন (৫৫) ও তার স্ত্রী নুপুর (৪৮), আমজাদ হোসেনের ছেলে খোকন (৩০), ছ্যানাগাড়ী-চকরাঙ্গামাটি গ্রামের মাহফুজার রহমান মাফু (২৮), ছোটকুয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৩০) ও জিয়াকে (৩০) আসামি করে থানায় মামলা করেন।

"