ঝিনাইদহে সরকারি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের সিম বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। প্যাকেটের গায়ে ৭০ টাকা লেখা থাকলেও খুচরা সিম বিক্রেতারা ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিক্রেতাদের অভিযোগ ডিলাররা তাদের কাছে প্রতিটি সিম ১০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় অনুসন্ধান চালিয়ে সত্যতা মিলেছে।

জেলার শৈলকুপা উপজেলার খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, তাদের কাছে চড়া দামে সিম বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে তারাও গ্রাহকের কাছ থেকে বেশি মূল্য নিচ্ছেন।

টেলিটকের ঝিনাইদহ কাস্টমার কেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান সুমন জানান, ডিলারদের বিরুদ্ধে বেশি দামে সিম বিক্রির অভিযোগ সত্য। ডিলারদের ৬০ টাকা দামে সিম বিক্রি করতে বলা হয়েছে। আর গ্রাহকরা কিনবেন ৭০ টাকায়। ডিলারদের সতর্ক করা হলেও তারা কম দামে সিম বিক্রির নির্দেশনা মানছে না। শৈলকুপা ও ঝিনাইদহের অনেক খুচরা সিম বিক্রেতা তার কাছে এমন অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।

শহরের কলাবাগানপাড়ার হাসিনা বেগম জানান, তিনি টেলিটকের একটি সিম কিনেছেন বেশি দামে। সাদিয়া নামের আরেক কলেজছাত্রীর অভিযোগ তিনি আরাপপুর এলাকা থেকে ৭০ টাকার সিম ১২০ টাকায় কিনেছেন।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলায় টেলিটকের গ্রাহক আছে আনুমানিক ১০ হাজারের মতো। ছয় উপজেলার শতাধিক পয়েন্টে টেলিটকের সিম বিক্রি করা হয়। ঝিনাইদহ শহরে ২০টি পয়েন্টে সিম বিক্রি করা হচ্ছে।

শহরের কেসি কলেজের সামনে জেলা পরিষদের মার্কেটে দুইজন সিম বিক্রেতা জানান, ৭০ টাকার সিম তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছে ডিলাররা। অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয় না। এজন্য তারাও একটু বেশি দামে বিক্রি করছেন।

বেশি দামে সিম বিক্রি নিয়ে ডিলার এনজিও এইডের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতি মাসে তাদের ২০০ করে সিম বিক্রি করতে দেন। এটা অত্যন্ত নগণ্য। এই ২০০ সিম বিক্রি করে তাদের মাত্র দুই হাজার টাকা লাভ হয়। অথচ তাদের ছয়জন কর্মীকে ৬০ হাজার টাকা প্রতি মাসে বেতন দিতে হয়। গত মাসেও আমরা ২০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছি। তিনি বলেন, তাদের কোনো কর্মী যদি বেশি দামে সিম বিক্রি করে থাকে তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"