খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
শেষের কলাম
বেগুনের দামও পাচ্ছেন না খানসামার কৃষক
আলুর পর এবার বেগুনেও সঠিক দাম পাচ্ছেন না দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষক। শীতের গুরুত্বপূর্ণ সবজি হিসেবে বেগুণ চাষে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে এই উপজেলায়। চাষের ৫০ শতাংশ জমিতে ২০ মণ থেকে ২২মণ বেগুন সপ্তাহে ক্ষেত থেকে আহরণ করছেন কৃষক।
বেগুনচাষীরা জানায়, প্রথম থেকে বেগুনের দাম ভালো পেলেও এখন বেগুনের দাম অনেক কমেছে। এখন বেগুন কোন পাইকার কিনতে চাচ্ছেন না। বেগুনের পাইকার এখন পাওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও পাওয়া যায় তাকে ক্ষেতের বেগুন বাচাই করে দিতে হয়। আর এ বাছাইয়ে তিনভাগের দুই ভাগেই বেগুন ফেলে দিতে হয়। এগুলো পাইকার নেয় না। প্রতি কেজি বেগুনের দাম হয় দেড় টাকা থেকে সর্বোচ্ছ তিন টাকা পর্যন্ত।
কৃষক শাহ আলম বলেন, সপ্তাহে বেগুন ক্ষেতে সার, কীটনাশক, সেচ, বেগুন তোলা সহ প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকার মতো ব্যয় হয়। কিন্তু বেগুন বিক্রি করি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকার মত। আমরা ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। কাচিনিয়া বাজারের রশিদুল বেগুন পাইকার বলেন ঢাকায় এ বেগুনের চাহিদা নাই। উপজেলা কৃষি প্রকৌশলী কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, উপজেলায় প্রতি বছর বেগুন ভালো ফলন হয়ে থাকে। বেগুনের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৪০ হেক্টর কিন্তু এবারে অর্জিত হয়েছে ৪৫ হেক্টর জমি। এবারে প্রথম দিকে কৃষকরা বেগুনের ভালো দাম পেয়েছিল। বেগুন সবজি জাতীয় ফসল।
"