চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে উচ্ছেদ অভিযান
দুই খালের শতাধিক স্থাপনা অপসারণ
নগরের মহেশ খাল ও গয়নার ছড়া খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরের দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের জেলেপাড়া এলাকায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অভিযানের প্রথম দিনে শতাধিক স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে বলে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই দুটি খালের উভয় পাড়ে প্রায় এক হাজার অবৈধ স্থাপনা রয়েছে বলে জানান সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহেশ খালের পূর্ব পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকানগুলোর মালামাল নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন দোকানি ও তাদের স্বজনরা। ভাসমান দোকানগুলো টিনের তৈরি। এর মধ্যে ছিল মুদির দোকান, চায়ের দোকান, রিকশার গ্যারেজ। বেলা একটার দিকে অভিযান শুরু করে সিটি করপোরেশন। এ সময় দোকানগুলো গুঁড়িয়ে দেয়।
অভিযান চলাকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজিদা শরমিন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় গয়নার ছড়ার অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করা হয়। মেয়র উচ্ছেদ অভিযান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে মেয়র বলেন, উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। খাল, নালা দখলমুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গৃহীত কর্মসূচির আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। তিনি অবৈধ দখলমুক্ত করার অভিযানে সিটি করপোরেশনের পাশে নগরবাসীর শতভাগ সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
এ সময় ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিনা খানমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্ণফুলীর সল্টগোলা থেকে শুরু হয়ে মহেশ খাল নগরের আগ্রাবাদ, হালিশহর ও দক্ষিণ কাট্টলীর বিভিন্ন এলাকা হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। খালের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ কিলোমিটার। প্রস্থ ৫০ থেকে ১২০ ফুট। গয়নার ছড়া খালের এক প্রান্ত নগরের ফইল্ল্যাতলী বাজারের মহেশ খালে মিশেছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার ও প্রস্থ গড়ে ৫৫ ফুট।
"