খুলনা প্রতিনিধি

  ০৮ জুন, ২০২০

করোনার ‘ডেঞ্জার জোন’ খুলনা

করোনাভাইরাস আক্রান্তের ক্ষেত্রে খুলনা মহানগর ও জেলা অনেকটাই ‘ডেঞ্জার জোন’-এ পরিণত হয়েছে। অতিদ্রুততার সঙ্গে ভয়ানক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে এ ভাইরাস। খুলনা বিভাগের দশ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। তবে আক্রান্তের দিক থেকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থানে রয়েছে খুলনা জেলা। এখানে মোট আক্রান্ত ১৫৩ জন।

এদিকে, নগরীর দৌলতপুর থানার একজন পুলিশ সদস্যের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় থানার ওসিসহ ৮৩ জন পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একই সঙ্গে মহানগরীর দশটি স্থানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ওইসব স্থানে প্রবেশ বা বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার লকডাউন করা স্থানগুলো হচ্ছে মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার মুজগুন্নি দিঘির পাড়, ৩১/১৭ হাজী ফয়েজ উদ্দিন রোড, ২/১ সিএন্ডবি কলোনি, ছোট বয়রা শান্তিনগর মোড়ে, ৩০/৬ করিম নগর, খুলনা থানার তামিম হাউস, হাজী মহসিন রোড, বেলায়েত হোসেন সড়ক, ইকবাল নগর হাজী মেহের আলী রোড, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, দোলখোলা ইসলামপুর বাইলেন, হরিণটানা থানার মোস্তর মোড়, মাতব্বর মার্কেট সংলগ্ন এলাকা।

এদিকে, নগরীর দৌলতপুর থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল কামাল হোসেন (৪৩) করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তিনি নিয়মিত ডিউটিরত অবস্থায় জ্বর, সর্দি উপসর্গ দেখা দেয়। গত ৩ জুন খুমেক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন এবং ৪ জুন তিনি করোনা পজিটিভ বলে খুমেক হাসপাতাল হতে জানানো হয়। বর্তমানে তিনি করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশ সদস্য কামাল হোসেনের পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় করোনা শংকা ছড়িয়ে পড়ে থানাজুড়ে। এ কারণে থানার অফিসার ইনচার্সসহ ৮৩ জন পুলিশ সদস্য দৌলতপুর সরকারী মুহসীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাময়িক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এছাড়া কামাল হোসেনের সঙ্গে ব্যারাকে অবস্থানরত ২১ জন কনস্টেবলকে নমুনা পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

দৌলতপুর থানা ইনচার্জ (তদন্ত) সৈয়দ মো. মোশাররফ হোসেন জানান, তিনিসহ ৮৩ জন পুলিশের সদস্য সরকারি দৌলতপুর মুহসীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ২১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা দেয়া হয়েছে। বাকিদের নমুনা পরীক্ষার জন্য ধারাবাহিকভাবে সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে নগরীর খালিশপুর থানার ৩০ জন পুলিশ সদস্য ও দৌলতপুর ট্রেড ফাঁড়ির ১৯ জন পুলিশ সদস্য দৌলতপুর থানা এলাকার সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান তিনি। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় মানুষ অবাধে চলাচলের সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই তথ্য গোপন করায় বা উপসর্গবিহীন থাকায় সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close