বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী

  ২৪ এপ্রিল, ২০১৯

হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া ১৫ কোটি টাকা

কর খেলাপিদের মালামাল ক্রোক করবে রাসিক

সরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানসহ নগরীর দেড় হাজার ব্যক্তির কাছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া থাকায় তাদের বিষয়ে নাগরিকসেবা বন্ধ করাসহ মালামাল ক্রোকের কথা ভাবছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। এদের মধ্যে ১০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান কখনোই হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করেনি। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে রাসিকের রাজস্ব শাখা থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতেও বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানগুলো। যে কারণে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ হোল্ডিং ট্যাক্স খেলাপিদের নাগরিকসেবা বন্ধ করে সংশ্লিষ্টদের মালামাল ক্রোকের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে রাসিক। আর এমন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আগেই এসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিদের বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে রাসিকের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে।

ওই স্ট্যাটাস বলা হয়েছে, রাজশাহী মহানগরীতে হোল্ডিং রয়েছে ৬০ হাজার ১৪৬টি। এদের মধ্যে বেশির ভাগ মালিক হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করে থাকেন। কিন্তু মাত্র দেড় হাজার ব্যক্তির কাছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া পড়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের। আর ১০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান কখনোই পরিশোধ করেনি এই ট্যাক্স।

যাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আগেই বকেয়া ট্যাক্স পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

মেয়র বলেন, ট্যাক্সের টাকায় নাগরিকদের বিভিন্ন সেবা প্রদান করে সিটি করপোরেশন। সম্মানিত নাগরিকরা বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করলে সিটি করপোরেশনের সেবা আরো বৃদ্ধি পাবে। এজন্য বকেয়া ট্যাক্স পরিশোধের জন্য এসব নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। রাসিক সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ খানা জরিপ অনুযায়ী রাজশাহী মহানগরীতে ৬০ হাজার ৩৪৬টি হোল্ডিং রয়েছে। বছরে এসব হোল্ডিং থেকে ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ট্যাক্স আদায় হওয়ার কথা থাকলেও ২০ শতাংশও আদায় হয় না। তারপরও অন্য খাতের টাকা দিয়ে এসব নাগরিক পরিসেবা চালু রাখা হয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়, গত ১৬ এপ্রিল থেকে মহানগরীর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এরই মধ্যে বড় বড় ট্যাক্স খেলাপিদের জরুরি চিঠি দিয়েছে রাসিক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হোল্ডিং কর পরিশোধ না করলে পরবর্তী পদক্ষেপের কথাও সেই চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাসিকের মতে, এক শ্রেণির চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও ধনী ব্যক্তিরাই হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধে অনীহা ও অসহযোগিতা করে আসছে। বরং মধ্যম আয়ের মানুষই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ করে থাকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close