খুলনা ব্যুরো

  ২৪ মার্চ, ২০১৯

খুলনায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সড়কে ময়লার স্তূপ

খুলনায় গত শুক্রবার চৈত্রের সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও রাস্তায় নোংরা পানি এবং ময়লায় ভরে যায়। মহানগরীর সড়কে শুরু হয় জলজট। আর কালবৈশাখীর দাপটও ছিল বেশ। ফলে সোয়া ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরবাসীকে পড়তে হয় বিপাকে। সোয়া ঘণ্টায় বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ এলাকায় ড্রেন ছাপিয়ে রাস্তা ময়লা ও নোংরা পানিতে ভরে যায়।

খুলনা আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ মিলিমিটার। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪২ কিলোমিটার। নগরীতে ওয়াসার প্রকল্পের সংযোগ পাইপের কাজ চলমান থাকায় সড়কের অনেক স্থানে রয়েছে খানাখন্দ। ফলে সেসব জায়গায় পানি জমতে দেখা যায়

খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, এটি স্থানীয় বজ্রবৃষ্টি। যশোর নড়াইলের বেসরকারি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. পারভেজ আহমেদ পলাশ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার কয়রায় ১৫ মিলিমিটার, পাইকগাছায় ১৭, বাগেরহাটে ১৯, সাতক্ষীরায় ৯ এবং যশোরে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।

খুলনা নাগরিক আন্দোলনের মহাসচিব এস এম দেলোয়ার হোসেন জানান, নগরীর এম এ বারী সড়কের অবস্থা করুণ। এ রোডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর দখলে রয়েছে ড্রেন এবং রাস্তা। বাস টার্মিনালের ময়লাও এখন ড্রেনে যাচ্ছে। ফলে বৃষ্টি হলেই সেই ময়লা রাস্তায় চলে আসছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার জানান, নগরীর পানি অপসারণের ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যায় শান্তিধাম, বেণীবাবু রোড, প্রেস ক্লাব মোড়, কেডিএ অ্যাভিনিউ এলাকায় পানি জমে থাকে। এসব অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফল। কেসিসিকে নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার এবং পলি অপসারণ করতে হবে। নগরবাসীকে ময়লা, পলিথিনসহ অন্যান্য বর্জ্য ড্রেনে ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, নিয়মিত কেসিসি ড্রেন পরিষ্কার করছে। এস্কাভেটর দিয়ে ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে। একটি সøাব ওঠালে কয়েক গাড়ি ময়লা উঠছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close