বিশেষ প্রতিনিধি, রাজশাহী

  ১৫ নভেম্বর, ২০১৮

এসএসসির ফরম পূরণ

রাজশাহীতে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি’র ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গতকাল রাজশাহীর জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিস ও দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহীর উপ-পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কয়েকটি বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে অতিরিক্ত ফি’র টাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে ফেরৎ না দিলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক।

অভিযোগে জানা যায়, দূর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষের এসএসসি ২০১৯ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের নিকট হতে কলা (মানবিক) বিভাগের জন্য ২ হাজার ১৫০ টাকা, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২ হাজার ২৫০ টাকা ও কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের নিকট হতে ৩ হাজার টাকাও আদায় করা হচ্ছে। অথচ শিক্ষাবোর্ড এসএসসি মানবিক ও ব্যবসায়ী শিক্ষা বিভাগের জন্য ১৪৪৫ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১৫৬৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের নিকট হতে (এক বিষয়) ৮০০ টাকা এবং দুই বা ততোধিক বিষয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা হারে ফরম পূরণ ফি নিয়ম বহির্ভূতভাবে আদায় করেছে প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান ও তার সহযোগীরা।

এদিকে অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনী পরীক্ষায় যে সকল পরীক্ষার্থী এক বা ততোধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে তাদের নিকট হতে কলা (মানবিক) বিভাগের জন্য সর্বনি¤œ ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের নিকট হতে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে ফি আদায় করা হয়েছে।

এসব ফি’র জন্য পরীক্ষার্থীরা কোন রশিদ পায়নি। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন পরীক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের নিকট পরীক্ষার ফি কমানোর জন্য আবেদন পেশ করলে প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী সরদার তাদের সাথে অসৌজ্যমূলক আচরণ করেন। এমনকি তাদের প্রবেশপত্র প্রদান করবেন না এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের বহিষ্কার করা হবে বলেও হুমকি দেন।

এছাড়াও যে সকল পরীক্ষার্থী রশিদ চাইলে তিনি বলেন, পরীক্ষার ফি জমাদানের বিপরীতে আদায়কৃত ফি গ্রহনের কোনরূপ রশিদ প্রদানের বিধান নেই।

দুর্নীতি দমন কমিশনে দেওয়া অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে সরেজমিনে তদন্ত করার আবেদন করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও তাঁকে সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন এবং নীতিমালা বহির্ভূত ফি আদায় বন্ধ এবং আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিয়ে পরীক্ষার্থীদের আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আবেদন করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে গতকাল বুধবার প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী সরদার মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি ডিইও অফিসে সব কাগজ দিয়েছি, ওখানে জেনে নিয়ে যা করার করেন। আমি কোনো বাড়তি টাকা বেশী ধরিনি।’

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের বলেন, ‘আমি ডিসি থাকাকালীন এখন পর্যন্ত কোন অনিয়ম করতে দেইনি। কালকের (আজ) মধ্যে অতিরিক্ত ফি’র টাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে ফেরৎ না দিলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close