নিজস্ব প্রতিবেদক
বনানীতে ঠিকাদার খুন
তিন মোটিভে ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্ত
রাজধানীর মহাখালীতে ঠিকাদার হত্যাকা-ের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হত্যাকা-ের তিনটি মোটিভকে সামনে রেখে তদন্ত চলছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও ঘটনার তদন্তে মাঠে রয়েছে। হত্যাকা-ে চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়িক কারণসহ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে হত্যার তদন্ত চলছে। এ ছাড়া নিহতের স্বজনদের করা অভিযোগও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নাসির পরিবার নিয়ে উত্তরার উত্তর আজমপুরের মুক্তিযোদ্ধা রোডের ১৪২ নম্বর বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। পাঁচ বছর ধরে তারা সেখানেই আছেন। নিহত নাসির শরীয়তপুর গোসাইরহাটের ইদুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বি এম খালেক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। ২০০৪ সালে রাজধানীর খিলক্ষেত নামাপাড়া এলাকায় বি এম খালেক খুন হন। ওই মামলায় জেলও খাটেন নাসির। গত রোববার সকাল ৮টায় মহাখালীর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের উত্তর পাশের গলিতে খুব কাছ থেকে ঠিকাদার নাসির কাজীকে (৪৮) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নাসির ওই মসজিদের টাইলস ফিটিংয়ের ঠিকাদার ছিলেন। হত্যাকা-ের সময় এলাকার সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় হত্যার দৃশ্য ফুটেজে ধরা পড়েনি। শুধু ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা নয়, ঘটনার অন্তত সোয়া ঘণ্টা আগে দক্ষিণপাড়ার ২৬টি সিসি ক্যামেরার প্রধান সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ বলছে, হত্যাকারীরা নিজেদের আড়াল করে যাতে নির্বিঘেœ এলাকা ত্যাগ করতে পারে এবং হত্যার দৃশ্য ভিডিও ফুটেজে ধরা না পড়ে, সেজন্য সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তবে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্নের সময় খুনিদের অস্পষ্ট মুখ ধরা পড়েছে। পুলিশ বলছে, খুনিরা শনাক্ত। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকা-। নাসির কখন কোথায় যায়, সে খবর তারা আগে থেকেই জানত। হত্যাকা-ের কিছুক্ষণ আগেই নাসির দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে তার ঠিকাদারির কাজ তদারকি করতে আসেন। এরপরই তিনি দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন। হত্যার আগে দুর্বৃত্তরা এলাকার সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। হত্যার কারণ নিশ্চিত না হওয়া গেলেও চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বসহ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত শুরু চলছে। মহাখালী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমানুল্লাহ জানান, ১৬ দিন আগে থেকে তিন তলা মসজিদের নিচতলা টাইলসের ঠিকাদারি কাজ শুরু করেন নাসির। ৩৪ লাখ টাকার কাজ। প্রায় প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে তিনি মসজিদে কাজের তদারকি করতে আসেন। তিনি আসার পর শ্রমিকরা কাজ শুরু করেন।
"