রোজার ঈদে বন্ধ থাকা উচ্ছেদ অভিযান আবারও শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এবার উচ্ছেদ অভিযানে ফুটপাত-সড়ক দখলকারীদের পাশাপাশি শাস্তির আওতায় আনা হবে যত্রতত্র ময়লা ফেলা ব্যক্তিদেরও। গত বৃহস্পতিবার সকালে লালদিঘী পাড় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিকের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৯তম সাধারণ সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল বলেন, নগরবাসী রাস্তায় নিরাপদে হাঁটার অধিকার ফিরিয়ে দিতে নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। ভালো কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। উচ্ছেদ কার্যক্রমকে ব্যর্থ করতে নানা রকম বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে ঢাকার একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ সবাই উচ্ছেদ অভিযানে খুশি। ঈদের সময় একটু নমনীয়তা দেখিয়েছি। এখন আবারও ফুটপাত-সড়ক উদ্ধারে অভিযান চলবে।

অভিযানে সংশ্লিষ্ট আরো অন্যান্য সরকারি সংস্থার সম্পৃক্ততা বাড়াতে যোগাযোগ চলছে। একবার উচ্ছেদের পর পুনঃদখল ঠেকাতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফুটপাত উদ্ধার শেষ হলে আমার পরবর্তী লক্ষ্য হলো ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাব। এ ছাড়া আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একজন ডেডিকেটেড ম্যাজিস্ট্রেট দেব যার কাজ থাকবে শুধু যাদের বাসা-দোকান-অফিসের সঙ্গে ময়লা পাওয়া যাবে তাদের জরিমানা করা। ফুটপাত রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব, সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। সভায় একাধিক কাউন্সিলর ব্যাটারি রিকশা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান, নিউমার্কেট মোড়ে ব্যাপক উচ্ছেদের মাধ্যমে ফুটপাত-সড়কের স্থান উদ্ধার করা গেলেও ঈদের শেষ সময়ে হকাররা আবারও ফিরে এসেছে। এজন্য হকার উচ্ছেদে আবারও নতুন করে একটা প্রোগ্রাম গ্রহণ করা যেতে পারে। নিউমার্কেট মোড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে দ্রুত বিচার আইনে হওয়া মামলাটির চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আরেকটি মামলা চলমান আছে যেটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফুটেজ বিশ্লেষণসহ তদন্ত করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রউফ বলেন, চসিকের ৩৭ থেকে ৩৯নং ওয়ার্ডে পানির সংকট কমাতে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। ৪০ ও ৪১নং ওয়ার্ডেও পানির সংকট কমাতে কাজ করবে ওয়াসা।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রমিজুর রহমান বলেন, বায়েজীদ এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের উদ্ধার করা জায়গায় হকারদের জন্য হলিডে মার্কেট স্থাপনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবু মুসা জানান, নগরীতে ফুটপাতে অবৈধ কোনো দোকান যাতে কোনোভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ না পায় সে বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক আছে। পিডিবির পোলে ডিশ ও ইন্টারনেটের লাইন অপসারণের বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে।

"