প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১১ জানুয়ারি, ২০২৪

‘উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকতে পারে’

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি কমবে বলে আবারও পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ রিপোর্টে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। গত অক্টোবরে প্রকাশিত বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে’ একই পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক মনে করছে, আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৫.৮ শতাংশ হতে পারে। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকতে পারে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অনুমান সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। চলতি অর্থবছরের বাজেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭.৫ শতাংশ। অবশ্য সম্প্রতি সংশোধন করে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাবে গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.০৩ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আমদানিতে বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ছে না। এ বিষয়টি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে কিছু সময় অনিশ্চয়তা ছিল, যা বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বাস্তবতার কথাও বলেছে বিশ্বব্যাংক। এতে বলা হয়, মহামারির পর, অর্থাৎ ২০২০ সালের পর ২০২৪ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে সবচেয়ে কম। বিশ্বব্যাংকের এক পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২.৪ শতাংশ। উচ্চনীতি সুদহারের প্রভাবে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে বিশ্বব্যাংকের ধারণা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close