ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৯ জুন, ২০২২

বিশ্বরেকর্ডের পর ইংল্যান্ডের বড় জয়

ম্যাচটার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে প্রথম ইনিংস শেষেই। যেখানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে চার উইকেটে ৪৯৮ রানের অবিশ্বাস্য সংগ্রহ তোলে সফরকারী ইংল্যান্ড। অবধারিতভাবেই সেই রানপাহাড়ে চাপা পড়েছে নেদারল্যান্ডস। তবু ইংলিশদের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খারাপ ব্যাটিং করেনি ডাচরা। ম্যাচের দুই বল বাকি থাকতে অলআউট হওয়ার আগে স্বাগতিকরা তোলে ২৬৬ রান।

তবু হারের ব্যবধানটা হলো যথেষ্ট বড়। অ্যামস্টেলভিনে প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতল ২৩২ রানে। ইংলিশদের জয়ের নায়ক কয়েকজনই। তবে বিস্ফোরক সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরার খেতাব পান জস বাটলার। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। আজ একই ভেন্যুতে সিরিজ জিততে মাঠে নামবে ইয়ন মরগানের দল।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ইংল্যান্ড যে বড় সংগ্রহ তুলবে সেটা অবশ্য অনুমিতই ছিল। কিন্তু ইংলিশরা যা করল সেটা ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বাস। এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তোলার বিশ্ব রেকর্ড গড়ল তারা। ওয়ানডেতে আগের রেকর্ডটাও ছিল ইংল্যান্ডের দখলে। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৮১ রান করেছিল তারা। সেদিন তারা জিতেছিল ২৪২ রানে। যা এই সংস্করণে তাদের সবচেয়ে বড় জয়।

পরশু রাতে ইংল্যান্ডের ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ফিলিপ সল্ট, ডেউইড মালান ও জস বাটলার। শেষজন থাকলেন অপরাজিত। ইনিংসের শেষ দিকে লিয়াম লিভিংস্টোন শতকের সুযোগ না পেলেও কম যাননি! অথচ এমন ম্যাচে ওপেনার জেসন রয় আউট হয়েছেন এক রানে। আর অধিনায়ক মরগান খুলতে কিনা খুলতে পারেননি রানের খাতা!

৯৩ বলে ১২২ রান করেছেন ওপেনার সল্ট। ইনিংস সাজান ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায়। ৪০ রানে অবশ্য জীবন পেয়েছিলেন তিনি। ১০৯ বলে ১২৫ রান করে আউট হন মালান। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার মার। ৭০ বলে ১৬২ রানের টর্নেডো ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন বাটলার। ইনিংসে ৭টি চার ও ১৪টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। তার সঙ্গী লিভিংস্টোন ২২ বলে ৬টি করে চার-ছক্কায় ৬৬ রানে অজেয় থাকেন।

শেষ ৩২ বলে ৯১ রানের অজেয় ইনিংস খেলেছেন লিভিংস্টোন এবং বাটলার। এ ছাড়া ম্যাচে অতিরিক্ত ২২ রান হয়েছে। ইনিংস ইনিংস দেখেছে ৩৬টি চার ও ২৬টি ছক্কা। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে দুই উইকেট নেন অধিনায়ক পিটার সিলার। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২২২ এবং তৃতীয় উইকেট জুটিতে করে ১৮৪ রান। এই দুটি জুটিই ইংলিশদের নিয়ে গেছে রানশৃঙ্গে।

মালান এবং মরগান ফিরেছেন পরপর দুই বলে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও অবশ্য পারেননি সিলার। হয়তো বিশ্ব রেকর্ড আটকাতে পারত ডাচরা। কিন্তু ৩৭ রানে থাকা জস বাটলারের ক্যাচ ছেড়েছেন মুসা আহমেদ। সেই বাটলার পরে বিদ্যুতের বেগে ছাড়িয়েছেন দেড়শ! মুসা যেমন ক্যাচ ফেলে ভুল করেছেন তেমনি টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েও ভুল করেছেন ডাচ অধিনায়ক পিটার সিলার।

রান তাড়া করতে নেমে নেদারল্যান্ডসের বেশির ভাড় ব্যাটারই পেয়েছেন রানের দেখা। দুজন করেছেন ফিফটি। বাকিরাও হারের ব্যবধান কমাতে কমবেশি অবদান রেখেছেন। সর্বোচ্চ ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন স্কট এডওয়ার্ডস। ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ ৫৫ রানে আউট হন। এ ছাড়া মুসা আহমেদ ২১, টম কুপার ২৩, বাস ডি লিডি ২৮ ও সিলার ২৫ রানে ফেরেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন মইন আলি। দুটি করে শিকার ডেভিড উইলি, রিস টোপলি ও স্যাম কারান। তাদের দারুণ বোলিং ও ব্যাটারদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে এক বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড জিতল ২৩২ রানে। এই জয় দিয়ে ইংল্যান্ডের সাদা বলের কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু হলো কোচ ম্যাথু মটের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close