জীবনযাপন ডেস্ক

  ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

শীতের নতুন পোশাক

শীত ঠেকানোর আয়োজন এখন আর শুধু গরম পোশাকেই আবদ্ধ নেই। এর সঙ্গে হালফ্যাশনও যুক্ত হয়েছে। আর সেই ফ্যাশনে লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। তবে কেতাদুরস্ত পোশাকের ভিন্নতার বিবেচনায় এখন যে কারো জন্যই গরম কাপড়ে শীত নিবারণ নয়, বরং কেতাদুরস্ত হয়ে ওঠারও অন্যতম উপলক্ষও। আমাদের দেশে বর্তমানে হাই ফ্যাশনে আগ্রহীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ওয়েস্টার্ন আউটফিট বা স্টাইলিশ আউটফিটে পঞ্চ, শ্রাগ, কেপ, ক্যাজুয়াল ব্লেজার, কটি, পাতলা শাল, সোয়েটার, টপসহ যেকোনো ডিজাইনের ‘আউটার উইন্টার’ অর্থাৎ অন্য পোশাকের ওপর পরার মতো আরেকটি পোশাক এখন ব্যাপক জনপ্রিয়। পশ্চিমা ট্রেন্ড মেনেই নকশা করা হচ্ছে এসবের, তবে কাপড়টা এ দেশের আবহাওয়া উপযোগী।

পঞ্চ ফ্যাশন : স্টাইলিশ আউটার উইন্টার হিসেবে পঞ্চ বরাবরই জনপ্রিয়। পঞ্চ সব বয়সে সবখানেই পরা যায়। একসময় পঞ্চ পাঁচকোনায় তৈরি হলেও এখন আর পঞ্চ শুধু পাঁচকোনায় আটকে নেই। চারকোনা, তিনকোনা, গোলাকার বিভিন্ন শেপে তৈরি হচ্ছে পঞ্চ। ফুল এবং পাতা প্রিন্টের উলেন পঞ্চ এখন বেশ জনপ্রিয়। গলার কাটিং কখনো গোল, কখনো তিনকোনা হচ্ছে। আবার অনেক পঞ্চের কাঁধের দুই দিকে দুই টুকরা কাপড় রাখা হচ্ছে, যা মাফলারের মতো করে পেঁচিয়ে নেওয়া যায়। সেলাইয়ের বদলে বোতাম ব্যবহার করেও পঞ্চে বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে যে পঞ্চগুলো দেখা যেত তা মূলত শাল কেটেই তৈরি করা হতো। এখন জর্জেট, লিনেন, সুতি, তাঁত, উলেন, খাদি কাপড়ে পঞ্চ তৈরি হচ্ছে। শাড়ি, টপস, লেগিংস, জিন্স, স্কার্ট, টি-শার্টসহ বিভিন্ন ধরনের ওয়েস্টার্ন পোশাকের ওপর পঞ্চ পরতে পারেন অনায়াসে।

কেপ কিংবা সোয়েট টপ : যেকোনো পোশাকের ওপর সিল্ক কিংবা জর্জেটের কেপ জুড়ে হালকা শীতে ছড়াতে পারেন উষ্ণতা। তাতেও যদি শীতটা বাধা না মানে তবে জড়াতে পারেন একটু ভারী কাপড়ের কেপ। বাজারে কোটের মতো কাটের কেপ জ্যাকেটও পাবেন। রাউন্ড নেক বা শেরোয়ানি কাটের কেপ এখন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। হাতা ও প্যাটার্নে বৈচিত্র্য থাকছে কেপের ডিজাইনে ভিন্নতা আনতে। পাশাপাশি নেকে ব্যবহৃত বোতম বা জিপার দিয়ে তৈরি কেপও ফ্যাশনে এখন ইন। হালকা শীতে উষ্ণতা পেতে গায়ে চাপাতে পারেন গরম কাপড়ের তৈরি স্টাইলিশ ‘সোয়েট টপ’। সোয়েট টপ পোশাকের সামনে বড় শো-বোতাম, পাথরের কাজ বা চেইন ভিন্নতা আনে।

কটি : এখন সকাল-বিকাল কিছুটা শীতের দাপট দেখা গেলেও সারা দিন তেমন ঠান্ডার উপস্থিতি নেই। এ সময় চাদর বেশিক্ষণ পরে থাকা কষ্টকর। আবার সোয়েটারও কিছুক্ষণ পরে থাকলে অস্বস্তি লাগে। এ ক্ষেত্রে কটি হতে পারে চমৎকার একটি সমাধান। সিল্ক, কাতান, খাদি, অ্যান্ডি, ধূপিয়ান, ব্রোকেড, তসরসহ একটু ভারী কাপড়ে তৈরি কটিতে শীতও মানবে জমকালো লুকও আসবে। আর জিন্সের তৈরি কটি ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে রকিং লুক আনে। এসব কটির নিচের অংশে তিন কোনা কাটের ছাঁটের সঙ্গে দুদিকে কাটা থাকছে। সালোয়ার-কামিজ, টপস, কুর্তির সঙ্গে ভালো লাগবে কটি।

শাল : শালেও এখন প্রতিনিয়ত আসছে বৈচিত্র্য। ফ্যাশন এখন পাতলা শালের চল। পাতলা আর ছোট হওয়ায় ওড়নার মতোই এগুলো ব্যবহার করা যায়। আবার গরম লাগলে চট করে ভাঁজ করে তুলে রাখা যায় হ্যান্ডব্যাগে কিংবা শালটাকে স্কার্ফের মতো পেঁচিয়ে স্টাইলিশ ঢংয়েও পরে নেওয়া যায়। কুমিল্লার খাদি, তাঁত, সিল্ক, নিট, উল, চায়নার পাতলা শালগুলোতে এখন সুতা, চুমকি, এমবয়ডারি, ব্লক প্রিন্ট, টাইডাই, স্ক্রিনপ্রিন্টসহ বিভিন্ন নকশা, ফলস কাপড়ের ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close