প্র্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ মার্চ, ২০২৪

ভারতের কপ্টারে সোমালি জলদস্যুদের গুলি

সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন ভারতের নৌবাহিনী সদস্যরা। এমভি আবদুল্লাহ থেকে আপৎকালীন বার্তা পেয়েই ভারতীয় নৌসেনার একটি জাহাজ উদ্ধারকাজে যায়। তবে জলদস্যুদের জাহাজ ধরার চেষ্টা করতেই ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার লক্ষ করে গুলি চালিয়েছে জলদস্যুরা। গত বছরের ডিসেম্বরে মাল্টার একটি জাহাজকে অপহরণ করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সেই জাহাজ নিয়েই সমুদ্রপথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। অপহৃত সেই জাহাজ ব্যবহার করে সমুদ্রপথে অন্য পণ্যবাহী জাহাজগুলোও অপহরণ করছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকার লিখেছে, ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর এক্স-এমভি রুয়েন নামে মাল্টার পণ্যবাহী জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছ থেকে অপহরণ করেছিল জলদস্যুরা। ওই জাহাজটিকে কাজে লাগিয়েই ওই সমুদ্রপথে বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী জাহাজকে অপহরণের চেষ্টা করে তারা। ওই জাহাজ নিয়েই বাংলাদেশের একটি পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণের চেষ্টা করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। কিন্তু ওই জাহাজ থেকে আপৎকালীন বার্তা পেয়েই ভারতীয় নৌসেনার একটি জাহাজ উদ্ধারকাজে যায়। নৌসেনার জাহাজ দেখেই জলদস্যুরা পালানোর চেষ্টা করে। ওই জাহাজটির পিছু ধাওয়া করে। নৌসেনার একটি হেলিকপ্টারও জলদস্যুদের পিছু নেয়। তখনই জলদস্যুরা নৌসেনার জাহাজ এবং হেলিকপ্টারটিকে লক্ষ করে গুলি চালাতে শুরু করে। সেই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে নৌসেনা। দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা আত্মসমর্পণ করেনি।

সূত্রের খবর, মাল্টার এ জাহাজটিকে অপহরণ করতে পারলেও ২০১৭ সাল থেকে ওই সমুদ্রপথে বহুবার বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণের চেষ্টা করেছিল জলদস্যুরা। কিন্তু প্রতিবারই সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছিলেন ভারতীয় নৌসেনা। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ১৭টি জাহাজ অপহরণের চেষ্টা করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close