নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মন্ত্রীদের তৎপরতা

ইউরোপে অবৈধ বাংলাদেশি রাখতে চাই না

- অর্থমন্ত্রী

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)ভুক্ত দেশগুলোয় কোনো বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে রাখতে চাই না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যারা যাবেন কিংবা বাস করতে চান, বৈধভাবে যদি সেখানে বাস করার সুযোগ থাকে, তাহলে ইউরোপ তাদের গ্রহণ করবে।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গেও কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন হোয়াইটলি। তিনি কী সুনির্দিষ্ট করে বলেছেন কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করতে চান? উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘না, সুনির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে এটার একটা পিলার দিয়েছেন তিনি।’

ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিবরণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মঙ্গোলিয়ার একটা কনফারেন্স হয়েছিল। ইইউভুক্ত দেশে অনেক অবৈধ অভিবাসী আছেন, তাদের নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। তাদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কর্মকর্তাকে আমি বলেছিলাম, আমরা এটার সমাধান করতে চাই। আমরা চাই না, আমাদের কোনো লোক ইউরোপীয় ইউনিয়নে বেআইনিভাবে থাকবে।’ ‘ইইউতে যারা যাবেন কিংবা বাস করতে চান, বৈধভাবে যদি সেখানে বাস করার সুযোগ থাকে, তাহলে ইউরোপ তাদের গ্রহণ করবে। আর না হলে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করব। আমরা কোনো বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ইউরোপে রাখতে চাই না’, বলেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এতে (অবৈধভাবে থাকলে) তো কোনো মানসম্মান থাকবে না। অভিবাসীরা কাজও করতে পারবে না ঠিকমতো। কাজেই তাদের একটা কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশিরা ইউরোপে অবৈধভাবে বাস করুক, সেটা আমরা চাই না, তা তারা বুঝে গিয়েছিল। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের জন্য কোনো সমস্যাই তৈরি করতে চাই না। তারা একটা কথা বলল, ইতালি থেকে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার এসেছে। এটা তাদের তথ্য। আমি তাতে খুশি হলাম। তারা বলেছেন, ইতালিতে বাংলাদেশিদের অনেক চাহিদা। বাংলাদেশিরা যেসব ক্ষেত্রে কাজ করতে চায়, তারা খুব ভালোভাবে কাজ করে, এটা ইতালিয়ানরা দেখেছেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ইতালি তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতালির মতো দেশে এখন বাংলাদেশিরা যে সুনাম অর্জন করেছে। এটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। ইইউ সেজন্য আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করার পরিকল্পনা করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ইইউতে একটা বিরাট বাজার আছে। রপ্তানি বাজার, অভিবাসী পাঠানো এবং সেখানে বাংলাদেশির কাজের সুনাম যেভাবে বেড়েছে, তো সব আমাদের পক্ষে যাচ্ছে। কীভাবে এটাকে আরো উন্নত করা যায়, ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক আরো বাড়ানো যায়, সেটা দেখতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close