কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

সাগরের বুক ফুঁড়ে দৃষ্টিনন্দন রানওয়ে

উত্তাল সমুদ্রের নীল জলরাশি ফুঁড়ে শান্ত রানওয়ে। তার ওপরে আলতো ছোঁয়ায় নামছে বিমান, আবার কোনোটি উঠছে আকাশে। দেখে মনে হবে সাগরজলেই যেন উঠছে-নামছে বিমান। এই দৃশ্যকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে করা হচ্ছে সাগরে সম্প্রসারণ। নান্দনিক ও চোখজুড়ানো রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ প্রায় শেষ।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ আগামী জুন মাসেই সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী জুলাই মাস থেকে এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা উড়োজাহাজ ওঠানামা করার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. ইউনুচ ভুইয়া।

মো. ইউনুচ বলেন, আগামী জুনে নতুন রানওয়ে ও টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে। পরের মাস থেকেই দিবারাত্রি সর্বক্ষণ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ ওঠানামা করবে এই বিমানবন্দরে। এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রি-ফুয়েলিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো যাত্রা বিরতি করবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বিমানবন্দরের প্রথমে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়। পরে তা আরো বাড়িয়ে ১০ হাজার ৭০০ ফুট করা হয়েছে। কাজের শুরুটাই ছিল বেশ চ্যলেঞ্জিং। খনন করা হয় সমুদ্রের তলদেশ। বিশাল ঢেউ থেকে রানওয়েকে সুরক্ষা দিতে চারপাশে বসানো হয় কংক্রিটের ব্লক। তৈরি হয় শক্তিশালী সুরক্ষা বাঁধ। এমন প্রক্রিয়ায় এই প্রথম কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে দেশে। তার সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল।

উল্লেখ্য, ভূমি থেকে সাগর পর্যন্ত নতুন রানওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা। আর টার্মিনাল তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৫ কোটি টাকা।

পর্যটনসেবী প্রতিষ্ঠান ট্যুর অপারেটর অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমদ জানান, সম্প্রসারিত রানওয়ে বাস্তব অর্থে দেশের পর্যটন শিল্পকে আরো একধাপ এগিয়ে নেবে। বিশেষ করে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close