নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

মন্ত্রীদের তৎপরতা

সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ বাজার নিয়ন্ত্রণ

- সেতুমন্ত্রী

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শুধু ‘হুমকি-ধমকি’ নয়, যে ‘অ্যাকশন’ নেওয়া দরকার, তা নেওয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার ভাষায়, নতুন সরকারের সামনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো মূল্যস্ফীতি কমানো। ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ- এ বিষয়টা চ্যালেঞ্জ। সংসদে যারা, তারা জনগণের প্রতিনিধি। এ সমস্যাগুলো এখন জনগণের নিত্যদিনের সমস্যা। কাজেই প্রথম চ্যালেঞ্জ এখন এটাই।’ গতকাল সোমবার দুপুর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যবসায়ীরা কথা রাখবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কথা রাখবে, মিষ্টি কথায় তো চিঁড়ে ভেজে না। কথা যেভাবে বলতে হয়, সেভাবেই বলতে হবে আমাদের। যে অ্যাকশনের দরকার, সে অ্যাকশন নিতে হবে। শুধু হুমকি ধমকি দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না।’ গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৪১ শতাংশ। বছরজুড়েই মূল্যস্ফীতি ছিল ১০-এর কাছাকাছি, তাতে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এর মধ্যে নির্বাচনের পরপর যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই বেড়ে গেছে চালের দাম, যা নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্রব্যমূল্য কমিয়ে কীভাবে মানুষকে একটু স্বস্তি দেওয়া যায়, তার উপায় খুঁজতে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে অ্যাকশন নিতে হবে, কৌশল অবলম্বন করতে হবে। কারণ আমাদের দেশের যে বাস্তবতা, সবকিছু ডান্ডা মেরে ঠাণ্ডা করা যায় না। কিছু কিছু কৌশলেও যেতে হবে এবং সেটা উপলব্ধি করতে হবে। ‘কথায় কথায় কাউকে ধমক দিলে সমস্যা সমাধান হবে না। আমাদের পজিটিভ অ্যাকশনে যেতে হবে। যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে পজিটিভ অ্যাকশনে যেতে হবে।’ বিএনপি একেকবার একেক বিষয়ে ‘অপপ্রচার করছে’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, আজকে দেশের কারাগারগুলোয় ১০ হাজারের মতো বন্দি আছে। অথচ তারা আজকে জাতিসংঘ ও মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অপপ্রচার করেছে। মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে তাদের দিয়ে বলাচ্ছে, যে বাংলাদেশে ২৫ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী জেলে আছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।’

স্থানীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দলীয় কোন্দল নিরসনের জন্য, নাকি বিএনপির যারা নির্বাচনে আসতে পারেনি, তাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য- এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ওবায়দুল কাদেরের সামনে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি যদি বলি কোন্দল নিরসনের জন্য আমাদের কৌশল নিতে হয়েছে। ইলেকশনে আমরা কৌশল নিয়েছি, স্বতন্ত্রদের ইলেকশন করতে দিয়েছি। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিল, তারা নির্বাচন করেছে। সে কৌশলের তো বিজয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নতুন চমকের বিজয় তো হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কত ভোটার অংশ নিয়েছে এটা তো এখন স্পষ্ট। এখানে রাখঢাক করার তো কিছু নেই। এটা আমাদের একটা কৌশল। আমরা এ কৌশলটা নিয়েছি আমাদের দলের ভালোর জন্য এবং কিছুটা জনদাবির মুখে। আমাদের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকেও এ দাবিটা এসেছে উপজেলা নির্বাচনের প্রতীক না দেওয়ার জন্য। আমাদের ওয়ার্কিং কমিটিরও অনেকে একমত পোষণ করেছেন। সে মোতাবেক আমাদের নেত্রী পূরণ করেছেন।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close