বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। তারা রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভগুলো ভেঙে দিচ্ছে। তারা নিজস্ব একটা বিধান চালু করছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২৭ দফা রূপরেখার গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

বুধবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের (২০২৩-২৪) প্রথম দিনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এদিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গিয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পিটিয়ে মিলনায়তন থেকে বের করে দেয়।

পুলিশের হামলায় আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এদিন ধাক্কাধাক্কি, মারধর, ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্য দিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পরে ভোট শুরু হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব এ বিষয়ে বলেন, বুধবার যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, যা জাতির জন্য, এই দেশের বিচারব্যবস্থার জন্য জঘন্যতম ঘটনা। তারা এই ঘটনার নিন্দা জানান, ধিক্কার জানান। এই ঘটনা প্রমাণ করে, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা কী। দেশে বর্তমানে কোনো গণতন্ত্র তো নেই-ই, আইনের শাসনও নেই। কোনো সরকার আছে কি-না, তা নিয়েও সন্দেহ আছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বরাবরই সুষ্ঠু হয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা একটা আদর্শ নির্বাচন। এখানে যারা দায়িত্বে থাকেন, তারা আইনজীবী মানুষ। যারা নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করেন, তারাও আইনজীবী। এখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়। বুধবার তাদের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। তার কিছুদিন আগে প্রেস ক্লাবের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভগুলো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিচ্ছে। তাদের নিজস্ব একটা বিধান, বিধি, সংবিধান তারা চালু করছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

"