সংসদ প্রতিবেদক

  ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

সংসদে বিল পাস

জ্বালানির দাম বাড়ানোর ক্ষমতা পেল সরকার

জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০২৩’ বিল পাস হয়েছে। এতে সরকারকে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের মূল্য বাড়ানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এখন গণশুনানি ছাড়াই জ্বালানি পণ্যের মূল্য বাড়াতে পারবে সরকার। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সংসদে এ বিল পাসের প্রতিবাদে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ওয়াকআউট করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর আগে বিলটির ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে গণফোরামের মোকাব্বির খান জনস্বার্থবিরোধী বিলটি পাসের অভিযোগ তুলে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন। তবে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে জ্বালানি খাতের কঠোর সমালোচনা করলেও শেষ পর্যন্ত অধিবেশন কক্ষে ছিলেন।

বিদ্যুতের দাম বাড়ানের জন্য জনস্বার্থবিরোধী এই বিলটি পাস করা হচ্ছে বলে দাবি করেন গণফোরামের মোকাব্বির খান। এর ফলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির দাম আরো বাড়বে। প্রতিমন্ত্রী বিলটি প্রত্যাহার না করায় তিনি ওয়াকআউট করছেন বলে জানান।

বিল পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, বিদ্যুৎ খাতে অপরিকল্পিতভাবে ব্যয় করা হচ্ছে। জনগণকে সেই ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে কুইক রেন্টালে মোটা অঙ্কের অর্থ অপচয় হচ্ছে। চাহিদার দ্বিগুণ উৎপাদনক্ষমতা সত্ত্বেও লোডশেডিং হচ্ছে। সিস্টেম লস কমানো যাচ্ছে না। ফলে জনগণের দুর্ভোগ কমছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ খাতে সরকারের অভূতপূর্ণ উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরে বলেন, জাতীয় পার্টির সরকারের আমলে ৪৪ শতাংশে থাকলেও এখন তা ৬ শতাংশে চলে এসেছে। ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ কারণে কুইক রেন্টাল চালু করা হয়েছিল। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাইলে কুইক রেন্টালের ক্যাপাসিটি দিতে হবে। শতভাগ জনগণের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এই বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ-সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের ট্যারিফ সমন্বয় করা প্রয়োজন। অর্থনীতির গতিকে চলমান রাখার স্বার্থে নিয়মিত ও দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিইআরসির পাশাপাশি সরকারের ক্ষমতা সংরক্ষণের জন্য আইনটি সংশোধনের প্রয়োজন। বিষয়টি জরুরি বিবেচনায়, বর্ণিত বিষয়ে আশুব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close