নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ আগস্ট, ২০২২

খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১১৯ টাকা

মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে এখন ডলার নেই। তবে তারা গ্রাহকদের কাছে সময় নিয়ে প্রতি ডলার ১১৯ টাকায় বিক্রি করছেন। বুধবার (১০ আগস্ট) খোলা বাজারে ডলার ব্যবসায়ী ও মানি এক্সচেঞ্জ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বেশিরভাগ মানি এক্সচেঞ্জেই এখন নগদ ডলারের সংকট। মানুষ বিক্রির চেয়ে কিনছেন বেশি। এদিকে এতদিন যারা রাস্তায় ডলার কেনাবেচা করতেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের ভয়ে তারাও সরাসরি কেনাবেচা করছেন না।

এদিকে, ডলারের কারসাজি রোধে খোলা বাজার ও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সপ্তাহ পর্যন্ত কারসাজির অপরাধে পাঁচটি মানিচেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ৪২টিকে কারণ দর্শাও নোটিস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে।

মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকার খোলাবাজারে বুধবার নগদ ডলার কিনতে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকা। সোমবার যা ছিল ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা। খোলাবাজারে সাধারণ গ্রাহক বিক্রি করলে প্রতি ডলারে পাচ্ছেন ১১৫ টাকা থেকে ১১৬ টাকা।

ডলারের এই সংকট শুধু খোলা বাজারে নয়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও ১০৮ থেকে ১১০ টাকার ওপরে নগদে ডলার বিক্রি হচ্ছে।

যদিও গত সোমবার (৮ আগস্ট) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হয়েছে ৯৫ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক ওইদিন সরকারি আমদানি বিল মেটাতে ৯৫ টাকা দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।

এদিকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে দাম বৃদ্ধির ঘটনায় গত সোমবার দেশি-বিদেশি ৬টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসারণ করতে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলো হলো বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংক এবং বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

বুধবার মতিঝিল এলাকায় ডলার ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানান, তাদের কারো কাছে কোনো ক্রেতা এলে যেসব হাউসে নগদ ডলার আছে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ক্রেতাকে সরবরাহ করা হয়। আগের মতো রাস্তায় বসে ডলার বিক্রি না করলেও তারা রাস্তায় অবস্থান করছেন। কোনো ক্রেতা পেলেই তার ডলার লাগবে কি না জানতে চাওয়া হচ্ছে। পরে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা দাম বলা হচ্ছে। এ দামে রাজি হলেই ক্রেতার হাতে চলে আসছে ডলার। একজন খুচরা ডলার ব্যবসায়ী বলেন, কেউ খুচরা ডলার বিক্রি করতে এলে তারা ১১২ থেকে সর্বোচ্চ ১১৫ টাকায় কিনছেন। মোট কথা ডলার হাতছাড়া করতে চাইছেন না। তবে ডলার কেনাবেচাও এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ আর আগের মতো নেই, নগদ ডলারের সংকট রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযান শুরুর পর থেকে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখন চাইলেও যে কেউ এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো থেকে ডলার নিতে পারছেন না। ডলার নিতে গেলে অবশ্যই পাসপোর্ট-ভিসা দেখাতে হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close