জুনাইদ আহমেদ পলক

  ০৮ আগস্ট, ২০২২

প্রেরণার উৎস মহীয়সী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব

বাঙালি জাতির প্রতি বেগম মুজিবের অবদান ছিল অপরিসীম। জনগণের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অকুণ্ঠ ও অকৃত্রিম। আর তাই তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির বঙ্গমাতা। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গমাতা। দীর্ঘ এই সংগ্রামে প্রায় ১৪ বছর বঙ্গবন্ধুর জীবন কাটে কারা প্রকোষ্ঠে। শুধু বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে নয়, অনুপস্থিতিতেও আন্দোলনে যাতে ভাটা না পড়ে সেজন্য জনগণের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখেছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। যে কারণে জনগণ তাকে ডাকতেন ভাবি বলে। আর বঙ্গবন্ধুকে ডাকতেন মুজিব ভাই হিসেবে।

ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে নিহত হন। বঙ্গমাতা হিসেবে যিনি আমাদের শ্রদ্ধার আসনে আসীন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেলের প্রিয় মা। সব কিছু ছাপিয়ে বড় পরিচয় তিনি আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে নির্ভরতার সারথি। আগস্টেই জন্ম আগস্টেই প্রয়াণ। জন্মের আবহটাও যেন বেদনায় নীল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে বাংলা ও বাঙালির অকৃত্রিম বন্ধু, সুহৃদ, দুঃসময়ের সহযাত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

আমাদের প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে কাজ করার যেমন সুযোগ হয়নি; তেমনি সুযোগ হয়নি বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মতো আত্মত্যাগী মহীয়সী নারীকে কাছ থেকে দেখার। বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা তার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক এক লেখায় একজন নারী কীভাবে সংসার, স্বামী-সন্তান নিয়ে বাঙালির প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু হতে অসামান্য অবদান রেখেছেন, তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন।

জননেত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে জাতিকে সেই দায়িত্ব থেকে অনেকটাই মুক্তি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রকাশের মাধ্যমে। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে বেগম মুজিবের প্রভাব ও অবদান বর্তমান প্রজন্ম নতুন করে জানতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা আত্মজীবনী যতটুকু পাঠকের হাতে পৌঁছে সেইটুকু বিশ্লেষণ করলেই মহীয়সী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে অনুধাবন করা যাবে। খুঁজে পাওয়া যাবে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির অসংখ্য নিদর্শন।

মানুষের ভালোবাসার কাঙাল ছিলেন বঙ্গবন্ধু। নেতাকর্মীদের প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসতেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর কর্মিবান্ধব গুণাবলির শতভাগই আমরা বেগম মুজিবের মধ্যে দেখতে পাই। দলীয় কর্মীদের সুখণ্ডদুঃখের সাথী ছিলেন তিনি। হোক সেরা রাজনৈতিক কর্মী অথবা সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষ, তার কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে কেউ কখনো খালি হাতে ফিরে যেতেন না।

বঙ্গবন্ধুর ছাত্র-রাজনীতি থেকে শুরু করে শাহাদতবরণ পর্যন্ত ছায়ার মতো সব রাজনৈতিক কর্মকান্ডে পাশে ছিলেন বেগম মুজিব। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা এবং পরবর্তী সময় দেশগড়ার সংগ্রামে বেগম মুজিব অনেক কষ্ট করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ছাত্র-রাজনীতি করার সময়ও বেগম মুজিব তার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করতেন। রাজনৈতিক কাজে টাকাণ্ডপয়সা দিয়ে সহযোগিতার এই মনোভাব তার আমৃত্যু ছিল। দেশমাতৃকার সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি তার গহনা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন।

আওয়ামী লীগের এক প্রকাশনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা স্মৃতিচারণমূলক লেখায় উল্লেখ করেছেন, ‘আব্বার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি মায়ের অসম্ভব রকম সহযোগিতা ছিল। আমার মায়ের ধৈর্য, নীতিবোধ, পারিবারিক সংস্কার, ভালোবাসা ও মমত্ববোধ এক ভিন্ন মাত্রার। যার কোনো তুলনা খুঁজে পাওয়া ভার। মহান ব্যক্তিদের পেছনে এমনিভাবে মহীয়সীদের অবদান রয়ে যায়।’

আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে দিনের পরদিন, মাসের পর মাস জেলের অভ্যন্তরে কাটাতে হয়েছে। এই সময়টাতে আওয়ামী লীগের তরুণকর্মী, বিশেষ করে ছাত্রনেতাদের নির্ভরতার কেন্দ্র বা আশ্রয়স্থল ছিলেন বেগম মুজিব। রাজনৈতিক কর্মীদের তিনি মনে-প্রাণে ভালোবাসতেন। পরম মমতার বন্ধনে আবদ্ধ করতেন। বিশিষ্ট কলামিস্ট ভাষাসৈনিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বেগম মুজিব সম্পর্কে লিখেছেন ‘মাথায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে বহু দিনের আত্মগোপনকারী ছাত্রনেতা কিংবা রাজনৈতিক কর্মী অভুক্ত অস্নাত অবস্থায় মাঝ রাতে এসে ঢুকেছেন বত্রিশের বাড়িতে, তাকে সেই রাতে নিজের হাতে রেধে মায়ের স্নেহে, বোনের মমতায় পাশে বসে খাওয়ান বেগম মুজিব।’

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের অনেক জটিল পরিস্থিতিতে বেগম মুজিব সৎপরামর্শ দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করেছেন। ১৯৪৬ সালে দাঙ্গার সময় বেগম মুজিব নিজে অসুস্থ থাকা অবস্থায়ও স্বামীকে দাঙ্গা উপদ্রুত এলাকায় যেতে বারণ করেননি। সেই সময় বেগম মুজিব স্বামীকে চিঠিতে লিখেছেন ‘আপনি শুধু আমার স্বামী হবার জন্য জন্মাননি, দেশের কাজ করার জন্য জন্ম নিয়েছেন। দেশের কাজই আপনার সবচাইতে বড় কাজ। আপনি নিশ্চিন্ত মনে সেই কাজে যান। আমার জন্য চিন্তা করবেন না। আল্লাহর উপর আমার ভার ছেড়ে দিন।’ কতইবা বয়স ছিল বেগম মুজিবের। ১৯৩০ সালে জন্মের হিসাবে বড় জোর ১৬ বছর। এই বয়সের একজন নিজের সুখণ্ডশান্তি, আরামণ্ডআয়েশ ত্যাগ করে দেশের প্রয়োজনকেই সবার ওপরে স্থান দিয়েছেন। দেশের জন্য ত্যাগের এই উদাহরণ বর্তমান সময়ে কল্পনাতীত।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলনের কঠিন সময়ও বেগম মুজিব শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু ও সব প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে সাহসী দৃঢ়চেতা মনোভাব নিয়ে স্বামীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। দলের তরুণকর্মী, ছাত্র, যুবকদের সঙ্গে বেগম মুজিব সবসময়ই যোগাযোগ রাখতেন। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াতেন। আন্দোলনের ক্ষেত্রে তরুণ যুবকদের আপসহীন মনোভাব বেগম মুজিব ভালোভাবে জানতেন বলেই স্বামীকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা দিতেন। বেগম মুজিব বিশ্বাস করতেন আন্দোলন প্রশ্নে বয়স্কদের মধ্যে কিছুটা দ্বিধা থাকতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের হাজার হাজার তরুণ-যুবা স্বাধীনতা আন্দোলনের পথ থেকে কখনোই পিছপা হবে না।

ঊনসত্তরের অগ্নিগর্ভা দিনগুলোতে বেগম মুজিবের সময়োচিত সিদ্ধান্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিব তখন জেলে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য জেনারেল আইয়ুব খান রাজনৈতিক নেতাদের গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান। শেখ মুজিবকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে প্রস্তাবিত গোলটেবিল বৈঠকে যাওয়ার প্রস্তাব করা হলো। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি অনেকেই প্রস্তাবে সম্মত হলো। এ সময় গণদাবি ছিল ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের। বেগম মুজিব প্যারোলে মুক্তি নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে ছিলেন। প্যারোলে মুক্তিতে রাজি হলে সম্পর্ক ছিন্নের কঠিন বার্তাও ক্যান্টনমেন্টে বন্দি মুজিবের কাছে পাঠিয়ে দেন। স্বামীর মতোই তিনিও ছিলেন নীতির প্রশ্নে আপসহীন। রাজপথে তুমুল আন্দোলনের চাপেই স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অগ্নিঝরা ভাষণের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন বেগম মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বিবেকের ওপর ভর করে বক্তৃতা করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পাশে বেগম মুজিবের মতো প্রজ্ঞাবান নারী থাকার কারণেই হয়তো ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নামক মহাকাব্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বেগম মুজিবের স্মরণশক্তি ছিল অত্যন্ত প্রখর। রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ তিনি সঠিকভাবে মনে রাখতে পারতেন। এ কারণে বঙ্গবন্ধু বেগম মুজিবকে তার ‘সারা জীবনের জীবন্ত ডায়েরি’ বলতেন। বন্দি থাকার সময় জেলখানা থেকে বঙ্গবন্ধুর সব নির্দেশনা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কাছে তিনি নিয়ে আসতেন। আবার আন্দোলনের সব ঘটনা জেল গেটে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ জেল জীবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সেতুবন্ধন ছিলেন বেগম মুজিব। যে সংগঠন বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মাণ করেছে সেই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, যা হয়তো ইতিহাসে অনুল্লেখই থাকবে। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসহ সব নীতিনির্ধারণী বৈঠক ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতেই হতো। বেগম মুজিব কখনোই এটাকে ঝামেলা মনে করেননি। বরং আনন্দচিত্তে নিজ হাতে রান্না করে সবার খাবার পরিবেশন করতেন। কর্তব্যনিষ্ঠা, দূরদর্শিতা, সাহসিকতাও দেশপ্রেমের অসামান্য গুণাবলির জন্য বেগম মুজিবের নাম বাঙালি হৃদয় থেকে কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারবে না। বাঙালির ইতিহাসের ধ্রুব তারা হয়ে থাকবেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের রক্তের উত্তরাধিকার দেশরত্ন শেখ হাসিনা। যিনি চতুর্থবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পিতামাতার মতো সহজ সারল্যে ভরা তার জীবনাচার। বঙ্গবন্ধু দলীয় নেতাকর্মীদের তথা দেশের মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছিল তার নিবিড় সম্পর্ক। এ মহৎ গুণের কারণে তিনি সবার প্রিয় ‘মুজিব ভাই’ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ হতে পেরেছেন। বেগম মুজিবও ছিলেন নেতাকর্মীদের পরম আপনজন। পিতামাতার কাছ থেকে অর্জিত দেশসেবার অসামান্য গুণাবলির কারণেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের অতি প্রিয় ‘নেত্রী’ বা ‘আপা’। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মতো মহীয়সী মায়ের রক্ত শেখ হাসিনার ধমনিতে প্রবাহিত বলেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনা। সব দুঃখণ্ডকষ্ট-বেদনার মাঝে পিতামাতার ঐশ্বরিক অভয় বাণীই শেখ হাসিনার এগিয়ে চলার অবলম্বন।

বেগম মুজিবকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থ দুটি সবারই পাঠ করা উচিত। গ্রন্থ দুটির সূত্র ধরে গবেষণা করলে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্পর্কে আরো অজানা তথ্য জানা যাবে, যা আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে, জাতিকে ইতিহাস বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় লিখেছিলেন, ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনী বিশ্লেষণে জাতীয় কবির এই কবিতার যথার্থ প্রতিফলন পাওয়া যায়।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠতম অর্জন হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর এসব লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস বাংলার মহীয়সী নারী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

লেখক : এমপি, প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close