শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

  ১৯ জুন, ২০২২

বৃষ্টির পানিতে ভাসছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম

এ কোনো পাহাড়ি ঢল নয়, টানা বৃষ্টিতেই প্রতিবারের মতো ডুবেছে বাণিজ্যিক বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। তবে এবারের এই জলাবদ্ধতা অতীতের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে। এবার নগরীর বহদ্দারহাট প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে একই এলাকার সড়ক সংলগ্ন মেয়র বাসভবনের নিচতলা, কাপাসগোলা, চকবাজার, মুরাদপুর, ষোলশহর ২নং গেট, আগ্রাবাদসহ নগরীর অলিগলি নিমজ্জিত হয়েছে। চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে দুই দফা বৃষ্টিতে ঘরবাড়িতে হাঁটু ও কোমর পর্যন্ত উচ্চতায় পানি প্রবেশ করেছে। তবে শুক্রবারের বৃষ্টি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। নগরীর অনেক ঘরবাড়ির নিচতলাই ডুবে গেছে। গলা সমান পানিতে থৈ থৈ করছে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও দোকানপাট।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নগরীর ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পানিতে ডুবে যানবাহনের ইঞ্জিল বিকল হয়ে সড়কে সৃষ্টি হয় যানজট। নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলায় পানি ওঠে যাওয়ায় দুর্ভোগের মুখে পড়েন রোগী, চিকিৎসকরা। নগরীতে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বেড়েছে ভোগান্তি বিড়ম্বনা।

অল্প বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার এই দুর্ভোগের জন্য সরকারি সেবা সংস্থাগুলোর খামখেয়ালিপনাকে দুষছেন নগরবাসী। মনির নামে বহদ্দারহাট এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পগুলোর কাজের সুফল কবে আসবে এ আশায় নগরবাসী তাকিয়ে আছে।

এদিকে, বর্ষার এ বৃষ্টি আরো দু-এক দিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা শেখ হারুনুর রশীদ জানান, শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। তিনি বলেন, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় প্রভাবে চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও বজ্রপাতসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। চট্টগ্রাম নদীবন্দরকে ১ নম্বর নৌ-সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close