নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ মে, ২০২২

‘অশনি’র প্রভাবে দাবদাহ

দেশের ছয় অঞ্চলে দাবদাহের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের এ ঘূর্ণিচক্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অশনি’। সিংহলা ভাষায় এর অর্থ ক্রোধ।

আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়। আসানি নামটি প্রস্তাব করেছিল শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আন্দামান সাগরে শুক্রবার একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর তা ঘনীভূত হয়ে শনিবার নিম্নচাপ এবং পরে গভীর নিম্নচাপের রূপ নেয়। এরপর দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে গতকাল রবিবার ভোরে পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড়ে।

আবহাওয়ার বিশেষ বুলটিনে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। সে সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সংকেত বাড়িয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটি, সৈয়দপুর, খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা ও যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে চলতি মৌসুমের তৃতীয় দফা দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এখন। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় একে বলা হচ্ছে মৃদু দাবদাহ।

শনিবার রাঙ্গামাটিতে দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, এই দাবদাহ আরো দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরো বিস্তার লাভ করতে পারে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এর আগে এপ্রিলে দুই দফা দাবদাহ বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে; সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close