সংসদ প্রতিবেদক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন জমা

ইসি গঠন আইন পাসের সুপারিশ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবিত আইনটি পাসের সুপারিশ করে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বহুল আলোচিত এই বিলটি পরবর্তী কার্যদিবসে পাস হবে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে।

দুই দিন বিরতির পর গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার। নিয়ম অনুযায়ী এখন আইনমন্ত্রী যেকোনো দিন বিলটি পাসের জন্য সংসদে প্রস্তাব করবেন। এর ওপর সংসদ সদস্যরা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীর প্রস্তাব তুলবেন। তখন বিলটি নিয়ে সংসদে আলোচনা ও পাস হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সংসদ চাইলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশসহ কিংবা সংসদে যে রকম স্থির করা হবে সেভাবে খসড়া আইনটি পাস হবে। সাধারণত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সংসদে গ্রহণ করা হয়। গত রবিবার আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ওই বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিলের দুটি ধারায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

সংসদে উত্থাপিত বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনারদের (ইসি) যোগ্যতা সংক্রান্ত ৫(গ) ধারায় বলা আছে, সিইসি ও ইসি হতে কোন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও পেশায়’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। অর্থাৎ সিইসি ও ইসি পদে সার্চ কমিটি কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে এমন কাউকে করতে হবে, যার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে।

আর অযোগ্যতার ক্ষেত্রে বিলের ৬(ঘ) ধারায় বলা আছে, নৈতিকস্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না। এখানে দুই বছরের কারাদণ্ড উঠিয়ে দিয়ে শুধু কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছে কমিটি। অর্থাৎ নৈতিকস্খলন ফৌজদারি অপরাধে যেকোনো মেয়াদের সাজা হলেই তা সিইসি বা কমিশনার হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

অধিবেশনে ওই বিলের প্রতিবেদন ছাড়াও মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব সংশ্লিষ্ট কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close