বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য যারা দিচ্ছে, তালিকা করে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রবিরোধী যেসব কাজ বিদেশে বসে যারা করছে, তাদের যাতে পাসপোর্ট বাতিল করা হয়, সেজন্য আমরা পরামর্শ দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। সুনির্দিষ্ট করে কারো নাম তিনি বলেননি, বলেছেন যাচাই করে তাদের তালিকা করা হবে।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হয়, সেই বৈঠকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী যেসব কাজ বিদেশে বসে যারা করছে, তাদের যাতে পাসপোর্ট বাতিল করার জন্য আমরা পরামর্শ দিয়েছি। তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হোক, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কী কী করছে, রাষ্ট্রবিরোধী কী কাজ করল, সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি দেখা যায় তারা সক্রিয়ভাবে, অব্যাহতভাবে এই কাজ করে যাচ্ছে, তাদের পাসপোর্ট বাতিলের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদান বা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পাসপোর্ট বাতিলের প্রস্তাব এসেছে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড দেশবিরোধী হচ্ছে তা কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘দেশদ্রোহিতা ও দেশের স্বার্থবিরোধী কোনটা সেটার সংজ্ঞা আইনে আছে। রাষ্ট্রের স্বার্থ পরিপন্থি কোনগুলো সংবিধান ও সিআরপিসিতে যা আছে সেটা মেনেই সেটা করা হবে। নতুনভাবে কোনো কিছু সংজ্ঞায়িত করা হবে না।’

সরকারি চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে : এছাড়া বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের আগে সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রত্যাশীর ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে আইন করা হচ্ছে বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যেকোনো সরকারি চাকরিতে নিয়োগের আগে ডোপ টেস্ট হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগেও ডোপ টেস্ট করা হবে। ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার জন্য দ্রুত একটি আইন করা হবে।’

এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের যাতে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা যায় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশি সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে। তারা (রোহিঙ্গা) আমাদের দেশের নাগরিক নন। তাই আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী তাদের বিচার হবে না। তাই কীভাবে তাদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা যায়, সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চালিয়ে যাবে, সেই নির্দেশনা তাদের দেওয়া হয়েছে।’

"