নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেসবুক চালাতে নিষেধে আত্মহত্যা শিক্ষার্থীর
মা পরীক্ষার মধ্যে ফেসবুক চালাতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ঈশিতা সে নিষেধ না মেনে বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের মামা মিজান বলেন, ঈশিতা এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সে আজিমপুর গার্লস কলেজের ছাত্রী। সামনে পরীক্ষা থাকায় আমার বোন তাকে ফেসবুক চালাতে নিষেধ করেন। সে ক্ষোভে গত রোববার রাতে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। পরে তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাখা হয় আইসিইউতে। ঈশিতার বাবা মো. ইদ্রিস গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের কম্পিউটার অপারেটর। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে বড়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন বলেন, গত সোমবার ভোরে ইশিতাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খান পুলক বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
"