নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে মৃত্যু ৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এক দিনে (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরো ৩৮ জন মারা গেছেন, যা গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে ৯ জুনের চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল। সেদিন ৩৬ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারপর থেকে দৈনিক মৃত্যু ক্রমেই বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তা দুইশোর ঘর ছাড়িয়ে যায়। তবে কদিন ধরে সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে মৃত্যুও কমছে। এ ছাড়া গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ৩ হাজার ৮৫৬ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৬৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
মারা যাওয়া ৩৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মারা গেলেন ২৬ হাজার ৮৩২ জন। আর পৌনে ২৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৩২৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে শনাক্ত রোগী বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ২৭ হাজার ২১৫ জন। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল। শুধু ঢাকা বিভাগেই ১ হাজার ৪৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের অর্ধেকের বেশি।
যে ৩৮ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ১৭ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২৬ হাজার ৮৭৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯২ লাখ ২ হাজার ৭৯০টি নমুনা। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৭ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন বাদে রাজশাহী বিভাগের ২ জন, খুলনা বিভাগের ৫ জন, সিলেট বিভাগের ১ জন, রংপুর বিভাগের ১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ২ জন ছিলেন।
মৃত ২৮ জনের ২৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। তাদের মধ্যে ৩৫ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১ জনের মৃত্যু বাড়িতে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
"