নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ আগস্ট, ২০১৯

সোনার দেশ গড়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করব : প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, এর মাধ্যমেই আমরা জাতির পিতার রক্তঋণ শোধ করব।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, প্রয়োজনে বুকের রক্ত দেব। আর সেই রক্তই তিনি দিয়ে গেছেন। আর আমাদের সেই রক্তঋণ শোধ করতে হবে তাঁর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘পিতা তোমাকে কথা দিলাম আজকের দিনে, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ জাতির পিতা আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তাঁর আদর্শ আমাদের মধ্যে আছে। সেই আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি।’ এ সময় এ দেশের মানুষের আস্থা-বিশ্বাস নিয়ে এবং সম্মান ধরে রেখে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল স্মৃতিকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা

বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমরা মনে করি এটি আমাদের দুর্ভাগ্য ছিল। আমি দেশ ছেড়ে গিয়েছিলাম দুটি বাচ্চাকে নিয়ে আর রেহানাকে (বোন শেখ রেহানা) সঙ্গে নিয়ে স্বামীর কর্মস্থলে। আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম, সেই বাঁচাটা বাঁচা না। সেই বাঁচার যন্ত্রণাটা মৃত্যু থেকে অনেক বেশি। ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। অন্য দেশে রিফিউজি হয়ে আশ্রয় নিয়ে থাকতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আওয়ামী লীগের কাছে। আমাকে প্রথম যখন নির্বাচিত করল, আমি তখন গ্রহণ করতে পারিনি। কাজ করেছি, থেমে থাকিনি।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এক বছরে বাংলাদেশে এক ফোঁটা ফসল উৎপাদন হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের জন্য অন্য কোনো পথ ছিল না। সব শিল্প-কলকারখানা বন্ধ ছিল। গ্রামের পর গ্রাম শুধু ধ্বংস, জ্বালানো, পোড়ানো ছিল। লাশের পর লাশ, নদীর পানি লাল হয়ে গিয়েছিল বাঙালির রক্তে।

সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপের পর দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলা গড়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি ফিরে এসে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা দায়িত্ব নিলেন। একদিকে ধ্বংসস্তূপকে সরিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ, অন্যদিকে পাকিস্তানের একটি প্রদেশকে নতুন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কঠিন কাজ করার জন্য মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন তিনি। আর এই সাড়ে তিন বছরেই তিনি তা করে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনে আমি শুধু এটুকুই বলব, যে শোক-ব্যথা বুকে নিয়েও এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি। শুধু আমার বাবার কথা চিন্তা করে। তিনি জীবনের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন এই দেশের জন্য।

আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন।

আলোচনায় আরো অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close