নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ এপ্রিল, ২০১৯

উপজেলা আ.লীগ সভাপতি আটক

অর্থ লেনদেন তদন্তে সিআইডি

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যাকা-ের ঘটনায় আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধান করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট।

হত্যাকা-ে কারা টাকা দিয়েছেন, তা জানতে চেষ্টা করছেন কর্মকর্তারা। সিআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যাকা-ে অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, সেই অর্থের উৎস খুঁজে বের করবে সিআইডি। এদিকে গ্রেফতারদের জবানবন্দিতে নুসরাত হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ?রুহুল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাকে সোনাগাজীর তাকিয়া বাজার থেকে আটক করা হয়।

আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে, চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, নুসরাত হত্যায় অর্থের জোগান দিয়েছিলেন স্থানীয় কয়েকজন।

প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ‘শ্লীলতাহানির’ অভিযোগ এনে গেল মার্চ মাসে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করে নুসরাতের পরিবার। মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা গত ৬ এপ্রিল সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে নুসরাতের গায়ে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে দেয়।

অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী উন্নত চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত।

উপজেলা আ.লীগ সভাপতি রুহুল আটক : নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় আটক করা হয়েছে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ?রুহুল আমিনকে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাকে সোনাগাজীর তাকিয়া বাজার থেকে আটক করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল। পিবিআইয়ের এএসপি মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক রুহুল আমিন নুসরাতের প্রতিষ্ঠান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি। ওই কমিটি সম্প্রতি বাতিল হয়ে গেছে।

গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তিতে নুসরাত হত্যার ঘটনায় রুহুল আমিনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে এসেছে। গ্রেফতার শামীম তার জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর তিনি দৌড়ে নিচে নেমে উত্তর দিকের প্রাচীর টপকে বের হয়ে যান। বাইরে গিয়ে মোবাইল ফোনে বিষয়টি রুহুল আমিনকে জানান। প্রত্যুত্তরে রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি জানি। তোমরা চলে যাও।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close