নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ এপ্রিল, ২০১৯

বিজিএমইএ নির্বাচন

পূর্ণ প্যানেলে জয়ী রুবানা

পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত-ফোরাম। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ভোট গণনা শুরু হয়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। বিজিএমইএ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ১ হাজার ৯৫৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৪৯২ জন। অর্থাৎ ভোট পড়েছে শতকরা ৭৬ দশমিক ২৭ ভাগ।

সম্মিলিত ফোরামে জয় পাওয়া অন্যরা হলেন এস এম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এম এ রহিম, কে এম রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, এ কে এম বদিউল আলম, মিরান আলী, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে এ প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন মোহাম্মদ আবদুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।

চার বছর পর এই নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হলো।

ঢাকায় সকালে কালবৈশাখীর দমকা হাওয়া ও ভারি বৃষ্টি শুরু হওয়ায় শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও পরে চিত্র বদলে যায়। এবারের নির্বাচনে বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পদের জন্য দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৪৪ জন। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৯৫৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ১ হাজার ৫৯৭ জন; বাকি ৩৫৮ জন চট্টগ্রামের। এবারের নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের আধিপত্য চ্যালেঞ্জ করে ভোটের লড়াইয়ে নামে স্বাধীনতা পরিষদ। তবে প্রথম নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে প্রার্থী দিতে পারেনি তারা।

ডিএসএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর এজেন্ট নিয়ে অভিযোগ করলেও নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানান।

২০১৫ সালে বিজিএমইএ’র নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদ ঠিক করে। এরপর থেকে আর নির্বাচন না হয়ে তিন ধাপে এই পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে গড়ে ওঠে ‘স্বাধীনতা পরিষদ’; তারা সমঝোতার মাধ্যমে না করে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব ঠিক করার দাবি তোলে।

স্বাধীনতা পরিষদের সক্রিয়তার প্রেক্ষাপটে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ জোট বেধে একটি প্যানেল দেয়। এই প্যানেলের প্রধান নেতা মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের স্ত্রী।

রুবানা হক ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলাফল যা-ই হবে, আমরা তা মেনে নেব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close