নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ মার্চ, ২০১৯

চকবাজার ট্র্যাজেডি

পরিচয় মিলল আরো ৫ জনের

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আরো পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ নিয়ে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ১৬ লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছেন তারা। এখনো দুটি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। সংগৃহীত ডিএনএ নমুনার এ দুজনের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, শনাক্ত হওয়া পাঁচজন হলেন হাজী ইসমাইল, ফয়সাল সারোওয়ার, রেহনুমা তাবাসসুম দোলা, মোস্তফা ও জাফর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মালীবাগের সিআইডি কার্যালয়ে অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এখনো দুটি লাশ ও তিনটি পরিবারের ডিএনএ নমুনা আমাদের কাছে রয়েছে। তবে দুই লাশের সঙ্গে এই তিন পরিবারের কারো ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। এগুলো মর্গে থাকবে। কেউ লাশগুলোর দাবি করলে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে মেলানো হবে।

তিনি আরো বলেন, লাশ শনাক্তের কাজটি দুরূহ ও সময়সাপেক্ষ ছিল। ঘটনার পরপর দুটি ক্রাইম সিন ইউনিট সেখানে পাঠাই এবং আলামত সংগ্রহ করি। এছাড়াও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর অন্যান্য রুটিন কাজ বাদ দিয়ে পরিচয় শনাক্তের কাজটিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করেছি।

এর আগে ৬ মার্চ ১১ জনের লাশ শনাক্ত করেছে সিআইডি। তারা হচ্ছেন ফাতেমাতুজ জোহরা, সালেহ আহমেদ, মো. ইব্রাহীম, এনামুল হক, তানজীল হাসান, নাসরিন জাহান, শাহীন আহমেদ, হাসান উল্লাহ, দুলাল কর্মকার, নুরুজ্জামান, নুরুল হক।

২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। পরে আহত ও দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরো চারজন মারা যান।

লাশের সংখ্যা একটি কমেছে

চকবাজারের আগুনে নিহত মোট সংখ্যা থেকে একটি সংখ্যা কমে আসবে বলে জানিয়েছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। তারা জানান, পুড়ে যাওয়া লাশের অংশ একজনের লাশ হিসেবে গণনায় ধরা হয়েছিল। কিন্ত ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে ওই ‘অংশ বিশেষ’ আরেকজনের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। এজন্য মোট লাশের সংখ্যা কমে ৬৬ এবং চিকিৎসাধীন নিহত হন চারজন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close