নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯

শুভেচ্ছা-সংলাপ নিয়ে রাজনীতিতে আলোচনা

সংলাপ নয়, নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপ নয়, নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা জানানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, সেহেতু তিনি নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাতে চান। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো বিষয় নেই। এ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বে কোনো বিতর্ক ও সংশয় নেই। পুরো গণতান্ত্রিক বিশ্ব নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমি আগেও বলেছি, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের প্রয়োজন নেই। সংলাপের দাবি হাস্যকর। তারপরও রোববারের বক্তব্য নিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সংলাপ নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ বিষয়টি পরিষ্কার করলাম।

জাতীয় নির্বাচনে দলের নিরঙ্কুশ বিজয় উপলক্ষে আগামী শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিজয় সমাবেশকে সফল করতে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ মহাবিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ বিজয় অব্যাহত থাকবে। আসন্ন উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিজয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের সড়ক-মহাসড়কের ওপর স্থাপিত কাঁচাবাজার ও ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদ করে মূল সড়ক উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে, এ কাজ সফলভাবে শেষ করতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে সড়কপাশের অবৈধ স্থাপনা সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এছাড়া পৌরসভা এলাকায় মহাসড়কের পাশের আবর্জনামুক্ত রাখতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরকে কঠোর নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যটনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি সড়কের বেইলি সেতুগুলো প্রতিস্থাপনসহ চলমান নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে।’

দেশের প্রথম সীমান্ত সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সম্প্রসারণ করে ৩২ ফুটে উন্নীত করা হবে। পর্যটকদের সুবিধার্থে সৈকতসংলগ্ন সড়কে বাতি স্থাপন, বিভিন্ন পয়েন্টে বিশ্রামাগার নির্মাণের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভে পর্যটকদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close