নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ মে, ২০১৮

গাজীপুরের ভোট নিয়ে কোনো অজুহাত নয় : প্রধানমন্ত্রী

মোবাইল কিনতে ৭৫০০০ টাকা পাবেন মন্ত্রী-সচিবরা

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং সচিবদের জন্য সরকারি খরচে মোবাইল কেনার অর্থের পরিমাণ পাঁচগুণ বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এত দিন এজন্য তারা ১৫ হাজার টাকা পেতেন। এছাড়া তাদের ফোন ব্যবহারের কোনো নির্ধারিত সীমা রাখা হচ্ছে না। যত খরচ হবে, তত টাকা সরকার থেকে দেওয়া হবে। এই সুবিধা রেখে সরকারি টেলিফোন, সেলুলার, সেট ও ইন্টারনেট নীতিমালা-২০১৮ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই মন্ত্রিসভায় বৈঠক হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই জয় এসেছে। তাই গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। খুলনার মতো গাজীপুরের নেতাকর্মীদেরও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকলে জয় সুনিশ্চিত। এদিকে গণভবনের সবুজ চত্বরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, এতিম ও আলেম-ওলামাদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ যেসব কর্মকর্তা সার্বক্ষণিকভাবে মোবাইলের সুবিধা পান না, তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার ভাতা হিসাবে মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন। এত দিন তারা ৬০০ টাকা করে পেতেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০০৪ সাল থেকে এই নীতিমালাটা কার্যকর ছিল। এখন এটাকে যুগোপযোগী করা হলো। তবে মন্ত্রিসভা কয়েকটি অনুশাসন দিয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের বিষয়টিও এখানে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

সভায় হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইনের খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইনটি ১৯৭৭ সালে অধ্যাদেশ আকারে করা হয়েছিল। মূলত, সেটাকে রেখে এটাকে আইন আকারে করা হচ্ছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে উঠলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই জয় এসেছে। তিনটি জায়গায় ঝামেলা হয়েছিল। সে কেন্দ্রগুলো স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি যেভাবে অভিযোগ করছে আসলে বিষয়টি তত নয়। মোটকথা, খুলনায় ভালো ভোট হয়েছে। তা না হলে বিএনপি প্রার্থী এত ভোট পেল কীভাবে। খুলনায় খালেকের ইমেজ ভালো ছিল। নেতাকর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ ছিল। এ কারণে খুলনার ফল আমাদের ফেভারে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৬টার দিকে গণভবনের সবুজ চত্বরে ইফতার মাহফিলে আসেন এবং অনুষ্ঠানস্থলে আগত অতিথিদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী এতিম ও প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গে ইফতার করেন।

ইফতারের আগে দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া, মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে নিহত সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও পরম করুণাময়ের দরবারে দোয়া করা হয়।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান মোনাজাত পরিচালনা করেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিশিষ্ট আলেম ও শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist