কূটনৈতিক প্রতিবেদক
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কবে : উত্তর দিলেন না মিন্ট থো
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বললেও প্রত্যাবাসন কবে, তা জানাননি মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মিন্ট থো। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তরও দেননি তিনি।
তবে মিন্ট থো বলেন, ‘আমরা খুব ফলপ্রসূ বৈঠক করেছি। মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উভয়পক্ষ খোলামেলা আলোচনা করেছি। প্রত্যাবাসন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছি। প্রত্যাবাসনের জন্য সেখানকার লোকদের (রোহিঙ্গা) মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এটা বৈঠকে আমরা তুলে ধরেছি।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় বৈঠক শেষ হয়। দুই দেশের বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মিন্ট থো। আর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয়পক্ষ দ্রুত প্রত্যাবাসনে সম্মত হয়েছি।’
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি আমরা। উভয়পক্ষে খুব খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি মিয়ানমারে ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এবার ঢাকায় দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই মিয়ানমারকে ৮ হাজার ৩২ জনের একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। এই তালিকা থেকে মিয়ানমার যাচাই-বাছাই করে ১ হাজার নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নতুন একটি তালিকা হস্তান্তর করা হবে।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক সামনে রেখে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী ঢাকায় এসেছেন। গত বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিমের এক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
"