ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

  ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিশ্লেষণ

যেভাবে মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকা যায়

বহু দশক ধরে আমাদের পৃথিবীতে অঙ্গ বিকল রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কিডনি, লিভার, হার্ট, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়, কর্নিয়াজাতীয় জীবন রক্ষাকারী অঙ্গগুলো বিকল হয়ে গেলে একজন মানুষের পক্ষে আর বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না। এ ধরনের রোগের নানা সাময়িক চিকিৎসা থাকলেও মূল চিকিৎসা হলো অঙ্গ প্রতিস্থাপন। একজন জীবিত ব্যক্তি যদি দেশের আইন অনুযায়ী সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার কোনো নিকটাত্মীয়কে অঙ্গদান করেন, তবেই শুধু সে রোগীর পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু যিনি তার অঙ্গদান করলেন, তিনি নিজেও পরবর্তী সময়ে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে পারেন। একটি মহৎ কাজ করতে গিয়ে তার নিজের জীবনও বিপন্ন হতে পারে। এ কারণেই কয়েক দশক ধরে পৃথিবীতে অঙ্গদানের ক্ষেত্রে একটি বিকল্প পদ্ধতি গড়ে উঠেছে, যার নাম ক্যাডাভেরিক অর্গান ডোনেশন অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্টেশন পদ্ধতি।

স্ট্রোক, মস্তিষ্কে আঘাত, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার বা অন্য কোনো কারণে যদি আমাদের ব্রেন স্টেমের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, তখন তাকে বলা হয় ব্রেন ডেথ। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ব্রেন স্টেম মস্তিষ্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর (হৃদযন্ত্র, ফুসফুস ও অন্যান্য) নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হলো ব্রেন স্টেম। কারো ব্রেন স্টেম অকার্যকর হয়ে গেলে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রের সাহায্যে আরো কিছুদিন সেই মানুষটিকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। যদিও তার বাকি অঙ্গগুলো অকার্যকর হয়ে যায় অল্প সময়ের মধ্যেই। একমাত্র নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) বিশেষ মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর (লাইফ সাপোর্ট) যন্ত্রের মাধ্যমে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস পরিচালনা করা হয় এবং অন্য অঙ্গগুলো সচল রাখার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, ব্রেন ডেথ নিশ্চিত হয়ে গেলে সেই মানুষটি আর ফিরে আসবে না।

যাদের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মস্তিষ্ক অচল হয়ে যায় এবং বাঁচার কোনো সম্ভাবনা থাকে না, চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় তাদের ক্যাডাভেরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যদি তারা ক্যানসার, হেপাটাইটিস, এইচআইভি বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত না হয়, তাহলে তারা ক্যাডাভেরিক হিসাবে অঙ্গদান করতে পারে। মরণোত্তর অঙ্গদান আর ক্যাডাভেরিক অঙ্গদান এক নয়। মানুষ মারা যাওয়ার পর শুধু তার কর্নিয়া (যা ৬ ঘণ্টার মধ্যে সংগ্রহ করে) প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আইসিইউতে ব্রেন ডেথ রোগীর ব্রেন ছাড়া অন্যসব অঙ্গ সচল থাকে। এমন রোগী থেকে আটটি অঙ্গ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অন্য মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়। আর ব্রেন ডেথ রোগী শুধু আইসিইউতেই পাওয়া যায়। কোনো ব্যক্তি ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষিত হওয়ার পর কিডনি, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, যকৃৎ, অগ্ন্যাশয় ও খাদ্যনালির মতো অঙ্গগুলো দান করলে অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়। তবে হৃৎপিণ্ড থেমে গেলেও কর্নিয়া, অস্থি, অস্থিমজ্জা ও চর্ম প্রতিস্থাপন করা যায়। এগুলোকে ক্যাডাভেরিক প্রতিস্থাপন বলা হয়।

পঞ্চাশের দশক থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় এ পদ্ধতি প্রচলিত আছে, যার মাধ্যমে অগণিত মানুষের জীবন রক্ষা করার প্রচেষ্টা চলছে। এ পদ্ধতিতে একজন ব্রেন ডেথ রোগীকে শনাক্ত করা হয়, যার পক্ষে আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কোনো ধরনের চিকিৎসাতেই এ ধরনের রোগীরা আর সুস্থ হতে পারেন না। তাই ব্রেন ডেথ শনাক্ত হওয়ার পর তাদের পরিবারের সম্মতিতে এ রোগীদের মৃত্যুর আগেই তাদের কতিপয় জীবন রক্ষাকারী অঙ্গ সংগ্রহ করে সেই অঙ্গ এক বা একাধিক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়, যার মাধ্যমে একজন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর মাধ্যমে একাধিক অসুস্থ রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

একজন ব্রেন ডেথ মানুষের দেওয়া অঙ্গগুলোর মাধ্যমে মোট আটজন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব। দুটি কিডনি, দুটি ফুসফুস, একটি হৃদযন্ত্র, একটি অগ্ন্যাশয়, পূর্ণাঙ্গ অন্ত্রনালি ও যকৃৎ। উন্নত দেশগুলোয় অনেক আগে থেকেই ব্রেন ডেথ রোগীর শরীর থেকে অঙ্গগুলো সংগ্রহ করে অন্যের জীবন রক্ষা করার কাজ প্রচলিত আছে।

আমাদের দেশে আইসিইউতে অনেক সময় ব্রেন ডেথ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাদের সময়মতো ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা যায় না। এর একটি কারণ হলো, এ ধরনের মৃত্যুর ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব। তারা এ রোগীকে মৃত বলে মেনে নিতে চান না। কারণ, তখনো রোগীর হৃদযন্ত্র সচল থাকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও অনাহূত বিপদের আশঙ্কায় ব্রেন ডেথ ঘোষণা এড়িয়ে যেতে চান। অনেক হাসপাতালে হয়তো ব্রেন ডেথ ঘোষণা দানকারী কমিটি থাকে না। দেশে একজন সারাহ ইসলামের মাধ্যমে আলোকিত হয়ে উঠেছে ব্রেন ডেথের ধারণা। সারাহ ইসলাম ২০ বছরের এক তরুণী। তার মা শবনম সুলতানা একজন শিক্ষক। জন্মের মাত্র ১০ মাস পরই ধরা পড়ে সারাহ ইসলাম টিউবেরাস স্কেলেরোসিস রোগে আক্রান্ত। মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেশি, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই। তখন থেকে সারাহ ও তার পরিবারের যুদ্ধ শুরু হয় এ রোগটির বিরুদ্ধে। দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর সারাহ এ রোগটির সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন।

সারাহ ইসলাম মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। জটিল এ রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করেও তিনি সাফল্যের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে চারুকলায় স্নাতকে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সুদক্ষ চিত্রশিল্পী ছিলেন। মানবতাবাদী ছিলেন। মানুষকে ভালোবাসতেন। তাই তার মা শবনম সুলতানা তার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে এ অঙ্গদানে সম্মতি দিয়েছেন। সম্মতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু করা হয় সঠিক অঙ্গগ্রহীতার খোঁজ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে ছয়জন সম্ভাব্য রোগীকে পরীক্ষা করে সেখান থেকে দুজনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়। গত বছর ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টা থেকে জটিল এ অস্ত্রোপচার শুরু হয় এবং শেষ হয় পরদিন ভোর প্রায় ৫টার দিকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম সফলভাবে এ ক্যাডাভেরিক অর্গান ডোনেশন সম্পন্ন করে। আইন অনুযায়ী গঠিত প্রতিটি টিম এখানে সুদক্ষভাবে কাজ করেছে। প্রতিস্থাপন দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউরোলজিস্ট ও ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। ইউরোলজিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট, আইসিইউ বিশেষজ্ঞ, কিডনি ফাউন্ডেশন, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান কমিটির সবাই সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে এ কাজে যুক্ত ছিলেন।

বর্তমানে সারাহ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সেল দেশব্যাপী ক্যাডাভেরিক অর্গান ডোনেশন ও ট্রান্সপ্লান্টেশনের ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজন সামগ্রিক ঐক্য আর সচেতনতা। সবার সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে ক্যাডাভেরিক অর্গান ডোনেশন ও ট্রান্সপ্লান্টেশনের দুয়ার উন্মুক্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অঙ্গবিকল রোগীদের জীবন রক্ষা করতে সক্ষম হব।

উল্লেখ্য, পৃথিবীর প্রধান ধর্মগুলো এ ধরনের কাজকে সমর্থন করে। প্রতিটি প্রধান ধর্মগ্রন্থে এ ধরনের পবিত্র কাজে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। পবিত্র আল-কোরআনের সুরা আল মায়িদায় উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি তার কাজের মাধ্যমে একজন মানুষের জীবন রক্ষা করলেন, তিনি যেন সমগ্র মানবজাতিকেই রক্ষা করলেন। ১৯৮৮ সালে সৌদি আরবে ফতোয়ার মাধ্যমে নিঃস্বার্থভাবে অঙ্গদানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের মুসলিম কাউন্সিল অঙ্গদানকে ইসলামের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে। অঙ্গদান সনাতন ধর্মের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রচলিত আছে। সনাতন ধর্মে নিঃস্বার্থভাবে অঙ্গদান বা যেকোনো কর্মকে ধর্মের অতি উচ্চস্তরের কর্ম বলে অভিহিত করা হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পণ্ডিত শাহমুখ ভেলজী শাহ নিঃস্বার্থভাবে অঙ্গদানকে সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। খ্রিস্টধর্ম নিঃস্বার্থভাবে অঙ্গদানকে সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে প্রথম থেকেই। সম্মানিত পোপরা বহুদিন ধরেই নিঃস্বার্থভাবে অঙ্গদানকে সমর্থন করে যাচ্ছেন। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের চার্চ সংঘ নিঃস্বার্থভাবে অঙ্গদানকে খ্রিস্টধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি পবিত্র ধর্মীয় দায়িত্ব বলে অভিহিত করেছেন। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই প্রধান ধর্মগুলোর মুখপাত্ররা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে ক্যাডাভেরিক অর্গান ডোনেশন অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্টেশন পদ্ধতিকে সমর্থন করেছেন। বাংলাদেশে এ পদ্ধতির প্রয়োগ অতি জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে মত দিয়েছেন।

আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মৃত ব্যক্তির দান করা কিডনি প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিই। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন লজিস্টিক সহায়তাসহ প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রিফ কাউন্সিলর (শোকার্ত মানুষকে মানসিক সহায়তাদানকারী) গঠন, অন্য হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি ইত্যাদি কাজ শুরু করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ প্রস্তুতির পর গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো মরণোত্তর দান করা কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিই। জরুরি ভিত্তিতে কিডনি প্রয়োজন এমন ৫০ রোগীর তালিকা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে অন্তত তিনবার মৃত ব্যক্তির কিডনি পাওয়ার আগ মুহূর্তে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়দের অনীহায় প্রতিস্থাপন করা যায়নি। মরণোত্তর দানের কিডনি প্রতিস্থাপনে নেতৃত্ব দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এ জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চুক্তি করেছে। সেখানে ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষিত আইসিইউর রোগীদের পরিবার সম্মতি দিলে কিডনি নেওয়া হবে। ছয় মাস ধরে বেশ কয়েকবার এমন কিডনি পাওয়ার ব্যবস্থা হলেও তা সংগ্রহ করা যায়নি।

মরণোত্তর অঙ্গদানে সচেতনতা বাড়াতে কিছু জরুরি করণীয় : সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের তাদের সভা-সমাবেশে এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে হবে। সমাজের বিশিষ্টজনদের তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষকে বোঝাতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে হবে। বেশি বেশি করে ক্যাডাভেরিক সভা-সেমিনার করতে হবে। ধর্মগুরুদের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয় সভায় বলতে হবে। সব যোগাযোগমাধ্যম যেমন- সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশনে প্রচার করতে হবে। বিভিন্ন ডকুমেন্টরি, নাটিকা তৈরি করে মানুষকে বোঝাতে হবে। ডোনার কার্ড করতে হবে। কোনো পরিবারের কেউ অঙ্গ প্রদান করলে কখনো প্রয়োজন হলে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বাংলাদেশে সারাহ ইসলাম দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে মৃত্যুকে পরাজিত করা যায়। মৃত্যুর পরও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকা যায়। মৃত্যুর পরও কীভাবে অন্য মানুষের উপকার করা যায়। আমার কাছে সারাহ ইসলাম হলেন মানবতার প্রকৃত ফেরিওয়ালা। নশ্বর দেহের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অন্য এক প্রাণের নাম হলো সারাহ ইসলাম। বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে এ নাম চিরদিন খোদাই হয়ে থাকবে। মানবতার জগতে তিনি আমাদের কাছে এক অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের অঙ্গ সংযোজন করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’- এই মহান বাণীর অনুপ্রেরণায় আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকুক।

লেখক : উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close