রায়হান আহমেদ তপাদার

  ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মতামত

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ন্যাম সম্মেলন ও বাংলাদেশ

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন বা ন্যাম হচ্ছে কোনো শক্তির সঙ্গে জোট না বেঁধে প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া- এই মূলনীতির ভিত্তিতে ১৯৬১ সালে তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে জন্ম হয় একটি সংগঠনের, যা জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) নামে পরিচিত। এ আন্দোলন গড়ার মূল নায়ক ছিলেন যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ ব্রোজ টিটো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, মিসরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদুল নাসের, ঘানার প্রেসিডেন্ট কোয়ামি ইনকোমো এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকর্ণ। একে বলা হতো পঞ্চণ্ডউদ্যোগ। ১০টি নীতির ভিত্তিতে ন্যাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে : জাতিসংঘ সনদের আলোকে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো; সব দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন; ছোট-বড় সব দেশ ও গোত্রের মধ্যে সমতার স্বীকৃতি; অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা; জাতিসংঘ সনদের আলোকে এককভাবে বা সমষ্টিগতভাবে কোনো দেশের অধিকারের প্রতি সমর্থন প্রদান; কোনো বড় শক্তির স্বার্থরক্ষার লক্ষ্যে যেকোনো প্রচেষ্টা ও অন্য দেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা; কোনো দেশের অখণ্ডতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ বা হুমকি প্রদান থেকে বিরত থাকা; সব ধরনের আন্তর্জাতিক বিরোধ জাতিসংঘ সনদের আলোকে আলোচনা, সমঝোতা, সালিস বা আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা; পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়া এবং ন্যায় ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন। ন্যাম এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মতাদর্শভিত্তিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত প্রশমনে অবদান রেখেছে। বর্ণবাদ, শাসন-শোষণ ও জাতিগত বিরোধের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছে।

জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অনেক দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সমর্থন জুগিয়েছে। মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ ও ঔপনিবেশ-বাদের অবসানের পর ন্যামও তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে পরিবর্তন এনেছে। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নতুন করণীয় নির্ধারণ করেছে। ন্যায়ানুগ ও সমতাভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হয়েছে। সমসাময়িক ইস্যুগুলোর ওপর ঐক্যবদ্ধ নীতিকৌশল বাস্তবায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে বহুজাতিক নীতি বাস্তবায়ন, সমতা ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় উন্নয়নশীল বিশ্বের কণ্ঠ বলিষ্ঠতর হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ন্যামের সদস্যদের দাবি সুসংহত হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের হার বেড়েছে, যা বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ন্যামের সদস্যরা টেকসই উন্নয়ন ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটাও ঠিক যে উন্নয়নের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তেমন উদ্যোগ নিচ্ছে না। সার্বভৌম উন্নয়ন নিশ্চিত করার অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্বায়নের অভিঘাতের পাশাপাশি ঋণের বোঝা, অন্যায্য বাণিজ্যচর্চা, বৈদেশিক সহায়তা হ্রাস, দাতাদের অযাচিত শর্তারোপ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ার ফলে উন্নয়ন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জাতিসংঘে সব রাষ্ট্রের সমান অধিকার আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শক্তিশালী দেশগুলো হরহামেশাই তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়। এর ফলেও উন্নয়নশীল বিশ্ব তাদের সার্বভৌম অধিকার সংরক্ষণ করতে পারছে না। এসব প্রতিবন্ধকতা অপসারণে ন্যাম ৭৭-জাতি গ্রুপের সঙ্গে কয়েকটি যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর ফলে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্য ঘোচানোর দাবি আজ বিশ্বদাবিতে পরিণত হয়েছে।

পাশাপাশি মানবাধিকার, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ধর্মীয় সহনশীলতা, কৃষ্টির বিশেষত্ব ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি সর্বজনীন দাবিতে পরিণত হয়েছে। ন্যামের বৃহদাকার, সদস্য দেশগুলোর বিভিন্নমুখী স্বার্থ এবং বিভিন্ন শক্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কারণে অনেক সময়ই সংস্থাটির মূল লক্ষ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। সবার চাওয়া-পাওয়াকে সমন্বয় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে। তার পরও সদস্যদের মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের একগুঁয়েমির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা ও সহযোগিতার মনোভাব টিকে আছে। ন্যাম যদি বিশ্ব-রাজনীতিতে গুরুত্বই হারাত, তাহলে মাত্র সাড়ে তিন দশকে তার সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা এত উন্নীত হতো না। ভারতের মতো বড় দেশ আমেরিকার সঙ্গে সামরিক চুক্তি করে নিজেদের নিরপেক্ষ অবস্থান অনেকটা ক্ষণ্ণ করার পরও এই সংস্থায় থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করত না। ওয়াশিংটন এখন বিশ্বের একক পরাশক্তি হওয়া সত্ত্বেও এই সম্মেলনের দিকে বিরূপতা ও সংশয়ের দৃষ্টিতে তাকাত না। এ কথা সত্য, ন্যামের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু শক্তি বৃদ্ধি পায়নি, বরং তা হ্রাস পেয়েছে। এটা পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির অনিবার্য ফল।

বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্যোক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আদর্শে জাতীয়তাবাদী ও বিশ্বাসে গণতন্ত্রমনা। তাই তো তিনি কর্মী থেকে হয়েছেন নেতা আর নেতা থেকে হয়েছেন জননেতা। দেশনেতা থেকে হয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা দিয়ে একটি দলের নেতা থেকে হয়েছেন দেশনায়ক। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালির দীর্ঘদিনের আত্মানুসন্ধান, আন্দোলন ও সংগ্রামের ফসল হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। তিনি আমাদের বাঙালি জাতিসত্তাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন এই প্রক্রিয়া হঠাৎ করে হয়নি। আজ এ কথা ভেবে বিস্মিত হই যে, এই ভূখণ্ডে যেটি পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব বাংলা এবং পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই জাঁদরেল পাকিস্তানি সমরনায়কদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে সেটিকে বাংলাদেশ বলে ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ দেশের রাজনীতিকে মধ্যযুগীয় ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক আবর্ত থেকে উদ্ধার করে আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ ধারায় প্রবাহিত করার পেছনেও শেখ মুজিবের অবদান অনন্য। বঙ্গবন্ধু শুধু দেশের উন্নয়নই নয়, আন্তর্জাতিক মহলে কীভাবে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়, এটিই ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাবনা। তিনি সব সময়ই একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে কোনো যুদ্ধ, সংঘাত ও ধ্বংস থাকবে না। একই সঙ্গে মানবতার কল্যাণ ও শান্তির জন্য বিশ্বের সবগুলো রাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় উৎসাহী ছিলেন। এই প্রত্যয় থেকেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ন্যাম সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ন্যাম সম্মেলনে গিয়ে যতটা গুরুত্ব পেয়েছিলেন, ২০০৯ সালের ন্যাম সম্মেলনে গিয়ে শেখ হাসিনাও অনুরূপ গুরুত্ব পেয়েছেন।

শতাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানরা মিলে তাকে দক্ষিণ এশিয়া থেকে ন্যামের ভাইস চেয়ারপারসন নির্বাচিত করেছেন। তার মধ্যে সাহসী নেতৃত্বগুণ রয়েছে বুঝতে পেরেই ন্যামের অন্যতম নেতৃপদে তাকে বসাতে তারা দ্বিধা করেনি। শেখ হাসিনার এই সম্মানে বাংলাদেশও সম্মানিত হলো- এ কথা বলাই যায়। ন্যাম সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি, এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশু ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৯-২০ জানুয়ারি উগান্ডায় অনুষ্ঠেয় পরবর্তী ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের জন্য উত্থাপিত প্রস্তাবনায় এটি বলা হয়েছে। শীর্ষ সম্মেলনের নথিতে, অনেক অনুচ্ছেদে ন্যাম পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শান্তি, সংস্কৃতি, এসডিজি, শান্তিরক্ষা, শান্তি স্থাপন, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত সমস্যাগুলোর মতো বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও অবদানের প্রশংসা করা হয়। ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের নথিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ভাষাগুলো বহুপাক্ষিকতার প্রতি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতিকে প্রতিফলিত করেছে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো প্রতি বৈরিতা নয়’, যা এর মূল নীতিকে প্রতিফলিত করে। ২০১৯ সালে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ১৮তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলন যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯তম ন্যাম সম্মেলন। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে অভিন্ন বৈশ্বিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু জোটনিরপেক্ষ দেশগুলোর মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা ও কার্যকর অর্থনৈতিক সহযোগিতার নীতির ওপর জোর দিয়েছিলেন, যা ৫০ বছর পরও প্রাসঙ্গিক। ফলাফল নথি, কাম্পালা ঘোষণা ও ফিলিস্তিনবিষয়ক ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের স্বাধীন সত্তা, জাতীয় সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকারের কথাও তুলে ধরা হয়, যা গণমানুষের মৌলিক চাহিদা মিটিয়ে সুখী-সুন্দর জীবনের মূল উপাদান রচনায় সহায়ক হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও আরব ভূখণ্ড ইসরায়েলের অবৈধ দখলে। তারা ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করে চলেছে। জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম আজও অব্যাহত এঙ্গোলা, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, গিনি বিসাওসহ লাতিন আমেরিকা ও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। বর্ণবাদের কালো থাবা আজও দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণকে পীড়িত করছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওসের জনগণের পূর্ণ মুক্তির আন্দোলন এখনো বিজয়ের মুখ দেখেনি। এ সম্মেলন আফ্রিকা, এশিয়া, লাতিন আমেরিকার মুক্তিকামী মানুষের জাতীয় ও আইনগত অধিকার আদায়ের লড়াই সমর্থন করে। মানবিক সমস্যার সমাধান উপমহাদেশের শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বময় নিরস্ত্রীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে বিধ্বংসী মারণাস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং যুদ্ধে সম্পদ বিনাশের কবল থেকে মানবসভ্যতাকে রক্ষার প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয় এবং প্রাকৃতিক সম্পদ মানুষের জরুরি চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করার প্রতিও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। শান্তি, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার প্রতি গণমানুষের চিরায়ত আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটুক। সে লক্ষ্যে গণমানুষ সর্বদাই শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে যুগে যুগে লড়াই করেছে। উপনিবেশবাদী, সাম্রাজ্যবাদী ও বর্ণবাদীদের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লাখ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ এবং তাদের মুক্তিসংগ্রামকে জয়যুক্ত করার অঙ্গীকারে হোক আগামীর ন্যাম সম্মেলন- এটাই সবার প্রত্যাশা।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close