রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২২ এপ্রিল, ২০১৮

পর্যালোচনা

কোন পথে চলেছে আরব

সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান তার এক সাম্প্রতিক সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। এখন সৌদি আরবের প্রধান দুই অভিভাবক হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জায়নবাদী দেশ ইসরায়েল। সৌদি রাজপরিবারের সুরক্ষা ও প্রাণভোমরা এখন তাদেরই হাতে। কাজেই যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের হাতেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে অনুসরণ করা ছাড়া পথ নেই। তিনি এই মুসলিম রাষ্ট্রটিকে একেবারে পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণে গড়ে তোলা এবং নিজেকে অনুগত দাস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কসম খেয়েছেন। আর তার জন্য সালমান ইসলামী মূল্যবোধ, রীতিনীতি, জীবনাচরণ এমনকি কোরআন, সুন্নাহ ও শরিয়াহকেও উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। আর সে জন্যই তিনি পশ্চিমা টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদপত্রে রীতিমতো হিরো। ট্রাম্পের পরই পশ্চিমা গণমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছেন কথিত এই তরুণ সৌদি যুবরাজ। যুবরাজের প্রশংসায় পশ্চিমা গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ এবং তাবৎ বুদ্ধিজীবী আপ্লুত ও উচ্ছ্বসিত। আর হবেই না বা কেন? সিআইএর একজন প্রধান কর্মকর্তা কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ‘সৌদি বাদশাহী তখতে এখন আমাদের লোক অধিষ্ঠিত। আমরা এখন শুধু সৌদি আরব নয়, মুসলিম বিশ্বের মূল্যবোধ ও রীতিনীতি পাল্টে ফেলব। এই সৌদি রাজপুত্রের মাধ্যমে পাশ্চাত্য আরো কী কী হাসিল করবে, তারও এক লম্বা ফিরিস্তি দিয়েছেন; যা শুনলে অনেকের চক্ষু কপালে নয়, একেবারে মু-ুতে উঠে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র সফরে সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের কাছে মুহাম্মদ বিন সালমান প্রমাণ করতে চেয়েছেন, ক্ষমতা করায়ত্ত করে তিনি বসে নেই; বরং পাশ্চাত্যের অ্যাজেন্ডা শুধু সৌদি নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে তিনি প্রাণপণ কোশেশ শুরু করেছেন।

এখানেই শেষ নয়; কামাল আতাতুর্কের মতো মুহাম্মদ বিন সালমানও জনজীবন থেকে ইসলামী শিক্ষা ও চেতনা ধীরে ধীরে মূলোৎপাটন করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। ক্ষমতা করায়ত্ত করে প্রথম দিকে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, সৌদি আরবের লোহিত সাগরের মধ্যে কিছু দ্বীপ ও সংলগ্ন উপকূল রয়েছে; সেখানে দক্ষিণ ফ্রান্সের সমুদ্র সৈকতের মতো আরাম আয়েশ ও ফুর্তির শীর্ষ ঠিকানা বানাবেন। এমনকি সুন্দরী দেশি ও বিদেশি ললনারা সেখানে বিকিনি পরে ঘুরতে পারবেন। সেখানে থাকবে ক্যাসিনো (জুয়া ও যৌনতার আখড়া), শরাব, ডিস্কো ও নাইট ক্লাবের ব্যবস্থাসহ বিলাসবহুল সবকিছুর ঢালাও আয়োজন। সৌদি আরব ও মুসলিম জনতার প্রাপ্য যে শত শত কোটি ডলার এই রাজপরিবার কুক্ষিগত করে রেখেছে, এই প্রমোদ নগরী নির্মাণের লক্ষ্যে তা বিনিয়োগ করা হবে। কিছু লোক মৃদুস্বরে প্রশ্ন তুলেছিল, সে ক্ষেত্রে সৌদিতে ইসলামী শরিয়তের কী হবে? এ স্বৈরাচারী শাসক জবাবে বলেছিলেন, ওইসব বিষয় পরে না হয় দেখা যাবে। পাশ্চাত্যের কাছে দ্বিতীয় কামাল আতাতুর্ক হিসেবে পরিচিত এই সৌদি যুবরাজের আরো কয়েকটি কর্মকা-ের প্রতি দৃষ্টিপাত করা যেতে পারে। তিনি সিংহাসন ও নানা উচ্চপদের দাবিদার অন্য সৌদি রাজপুত্রদের গৃহবন্দি করে রেখেছেন। বহু স্বাধীনচেতা আলেম, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন গোত্রের প্রভাবশালী লোকদের হয় কারাগারে অন্তরীণ করেছেন, নয়তো নিকেশ করার ব্যবস্থা করেছেন। সমগ্র পশ্চিম এশিয়ার ওপর আধিপত্য কায়েম করার মরণ নেশা মুহাম্মদ বিন সালমানকে এমনভাবে পেয়ে বসেছে, মানুষের জীবনের কোনো মূল্য, নীতিনৈতিকতার তিনি ধার ধারেন না। গদিনশিন এই যুবরাজ তিন বছর আগেই ভিন্ন একটি রাষ্ট্র ইয়েমেনের ওপর নৃশংস হামলা চালাতে শুরু করেছেন।

মার্কিন মদদপৃষ্ট সৌদি বিমানবাহিনীর অনবরত ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বর্ষণে ইয়েমেন এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহচ্যুত হয়ে বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ইতোমধ্যেই পুরো বিশ্বে ও ইসলামী দুনিয়ায় একটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেÑসৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান কি দ্বিতীয় কামাল আতাতুর্ক? অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, যুবরাজ দ্বিতীয় কামাল আতাতুর্ক হিসেবেই নিজেকে জাহির করতে শুরু করেছেন। অবস্থা দৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে। যেমন : দুজনেরই রয়েছে অগাধ পাশ্চাত্য প্রেম। দুজনের চিন্তাধারা হলো, বাঁচতে গেলে কিংবা অগ্রগতি করতে হলে পাশ্চাত্য ভজন ছাড়া উপায় নেই। দুজনের নিজস্বার্থ চরিতার্থ করতে ও নৃশংস পদ্ধতিতে তা বাস্তবায়নে বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা এ দুজন স্বৈরাচারী শাসকের কাছেই হাস্যকর দুই শব্দ মাত্র। মনে রাখতে হবে, ইসলামের পবিত্রতম তীর্থস্থান মক্কা ও মদিনা রয়েছে সৌদি আরবে। আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মূলত এ দুই শহরকে (মক্কা ও মদিনা) কেন্দ্র করেই ইসলাম প্রচার ও কোরআনভিত্তিক নয়া জীবনধারার প্রবর্তন করেছিলেন। আর তুরস্ক ছিল ওসমানীয় খিলাফতের প্রাণকেন্দ্র। এমনকি সৌদি আরবও ছিল খলিফার নেতৃত্বাধীন ওসমানীয় খিলাফতের একটি ক্ষুদ্র প্রদেশ। খিলাফতের অধীনে শত শত বছর ধরে যে সভ্যতা, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও জনগণের কল্যাণকামী আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল; এক কথায় তা ছিল অনন্য; কিন্তু কি জানি কেন কামাল আতাতুর্ক ও তার ভাবশিষ্য মুহাম্মদ বিন সালমানের ধারণা হচ্ছে, ইসলামী রীতি-ঐতিহ্য, শিক্ষা ও মূল্যবোধ পরিত্যাগ না করলে উন্নয়ন ও বিকাশ অসম্ভব। এখন লক্ষ করা যাচ্ছে, খোদ সৌদি আরবের মূল ভূখ-েই যুবরাজ অনেক ধরনের ‘বৈপ্লবিক পরিবর্তনের’ পরিকল্পনা করেছেন।

সৌদি আরবের স্টেডিয়ামে মহিলা ও পুরুষদের একসঙ্গে বসে খেলা দেখার বন্দোবস্ত, সিনেমা ও কনসার্ট হলের ব্যবস্থা করেছেন। সৌদি নারীরা মস্তকাবৃত যে আবায়া পরিধান করতেন, তাও বিলোপ করার রাজকীয় ফতোয়া এসেছে। এ কথা সত্য, সৌদি আরবের শাসকরা ইসলামের নামে বেশ কিছু অনৈসলামিক বিধান সমাজে চাপিয়ে দিয়েছিলেন। নিপীড়নমূলক সেসব অপবিধান দূর করতে চাইলে, তা ছিল সততই স্বাগত; কিন্তু কামাল আতাতুর্কের মতো এই যুবরাজ ইসলামকেই টার্গেটে পরিণত করেছেন। কামাল আতাতুর্ক পাশ্চাত্যের তুষ্টিসাধন এবং ইসলামী শিক্ষা ও জীবনধারা বিলোপে যেসব আইন করেছিলেন, মুহাম্মদ বিন সালমানও কম-বেশি তারই অনুকরণ করছেন। কামাল পাশা মুসলিম বিশ্ব ও তুরস্কের যে ক্ষতি করেছিলেন, তা নিরূপণ করার সময় এসেছে। তিনি ইসলামী খিলাফতকে উচ্ছেদ করে উম্মাহর ঐক্য বিনষ্ট করা ছাড়াও তুরস্ককে কয়েক প্রজন্ম পেছনে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আরবি হরফ পরিত্যাগ করে পাশ্চাত্যের লাতিন হরফে তুর্কি লেখার বন্দোবস্ত করেছিলেন। মুহাম্মদ বিন সালমানও হয়তো একই কাজ করবেন, তার জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। ১০ লাখের বেশি শিশু ওষুধ, খাদ্য ও বস্ত্রের অভাবে মৃত্যুমুখে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। তবে ইয়েমেনের জনগণ সৌদি আগ্রাসনের মুখে মাথা নত করেনি। তারা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। সৌদি সেনারা ইয়েমেনের দখল নিতে পারেনি। তিনি লেবাননের সরকারকেও কলঙ্কিত করতে চেয়েছিলেন।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি সৌদি রাজধানী রিয়াদ সফরে গেলে এই সৌদি রাজপুত্র তাকে রীতিমতো বন্দি করে রাখেন। সৌদি টেলিভিশনে ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য করেন। কিন্তু লেবাননের প্রেসিডেন্ট, জনগণ এবং ইরানসহ অন্যান্য রাষ্ট্র বন্দি অবস্থায় চাপের মুখে এ পদত্যাগ করাকে মেনে নিতে অস্বীকার করেন। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক চাপে সৌদি আরব প্রধানমন্ত্রী হারিরিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। হারিরি দেশে প্রত্যাবর্তন করে পুনরায় নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। আসলে যুবরাজের উদ্দেশ্য ছিল, লেবাননের প্রতিরোধ বাহিনী হিজবুল্লাহকে নির্মূল করা, এই হিজবুল্লাহই দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলকে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিরোধ করছে। তাই ইসরায়েলের নয়া বন্ধু সৌদি যুবরাজের হিজবুল্লাহকে পছন্দ নয়। দ্বিতীয়ত, তার আশঙ্কা ইখওয়ান, হামাস প্রভৃতি ইসলামী আদর্শে অনুপ্রাণিত সংগঠন সৌদি রাষ্ট্রদূতের পক্ষে ভবিষ্যতে বিপদ হতে পারে। কারণ, সৌদির শাসনব্যবস্থা মোটেই ইসলামী নয়; বরং স্বৈরাচারী ও মানবাধিকারবর্জিত। সৌদি রাজপুত্রের লেবানন পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়। সৌদি যুবরাজের শখ হচ্ছে, তিনি নাকি অ্যাটম বোমা বানাবেন। অন্তত আমেরিকা সফরে তিনি এ ঘোষণাই দিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলেছেন, যদি ইরান পরমাণু বোমা বানায়, তাহলে আমিও বানাব। অবশ্য, পশ্চিম এশিয়ার বিষফোঁড়া বলে পরিচিত ইসরায়েলের হাতে কম করে ২০০ পারমাণবিক বোমা রয়েছে; কিন্তু জেরুজালেমের জবরদখলকারী ইসরায়েলের হাতে এত পরমাণু বোমা থাকা সত্ত্বেও তা যুবরাজকে বোমা বানাতে আগ্রহী করেনি; কিন্তু ইরান পরমাণু বোমা বানালেই যত দোষ। সে ক্ষেত্রে তিনি নাকি পরমাণু বোমা প্রস্তুত করবেন। না, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, এ বোমা তিনি প্রয়োগ করবেন ইরানের ওপর। মুহাম্মদ বিন সালমান এখন শয়নে-স্বপনে-জাগরণে শুধু ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকেই দেখছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার পক্ষকালের সফরে বড়মুখ করে যুবরাজ বলেছেন, ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের কারণেই নাকি সৌদি আরবে ইসলামপন্থিরা জেঁকে বসেছিল। তা না হলে সৌদি আরবের বাসিন্দারা অন্য সাধারণ মানুষের মতোই প্রগতি করছিল আর ইরান বিপ্লবের কারণেই দীর্ঘদিন সৌদি আরবে গোঁড়া ইসলাম অনুসারীদের রমরমা। অর্থাৎ যত দোষ, নন্দ ঘোষ।

সৌদি যুবরাজের এসব ভাষণের ব্যাখ্যা করলে যে কথা সামনে আসে তা হলো, ইরান বিপ্লব না হলে প্রগতি করে সৌদি আরব এখন সম্ভবত অনেকটাই আমেরিকা বা ইসরায়েলের মতো প্রগতিশীল আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত হতো। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের কারণেই ইসলামী জীবনাচার সৌদি আরবে জেঁকে বসেছিল। স্কুল-মাদরাসাগুলোর শিক্ষক ও পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেও নাকি ইসলামী চিন্তাধারা প্রবেশ করেছিল। আর যুবরাজকে এখন এসব আবর্জনা সাফ করতে হচ্ছে। তবে যুবরাজ যাই বলুন না কেন, তার অ্যাটম বোমা বানানোর খায়েশ কিংবা হুমকি সহজে বাস্তবায়ন হওয়ার নয়। কারণ, সৌদি বাদশাহী শাসনে দেশটিতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিক্ষার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। কাজেই তিনি পরমাণু বোমা বানাবেন কী করে। হ্যাঁ, দেদার অর্থ ব্যয় করে তিনি হয়তো ইসরায়েল কিংবা আমেরিকার কাছ থেকে পরমাণু বোমা কিনতে পারবেন; কিন্তু তা ফাটবে কোথায় তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ভুলের বশে ধনকুবের সৌদিরা না আবার নিজ দেশেই তা ফাটিয়ে ফেলেন। এ যুবরাজকে আরেকটি কর্ম কিংবা অপকর্ম করতেও দেখা গেছে; তিনি সৌদি আরবের প্রায় ১০০ জন ধনী রাজপুত্র ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে কয়েদ করে ফেলেন। কোন আইনে তার অবশ্য কোনো ব্যাখ্যা নেই; কিন্তু সারা বিশ্বে পশ্চিমা মিডিয়া প্রচার করল, তিনি নাকি দুর্নীতি উচ্ছেদের জন্যই এ কাজ করেছেন। পরে অবশ্য দেখা গেল, এসব সৌদি ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও রজপুত্রদের মেরে এবং হুমকি দিয়ে তিনি তাদের কাছ থেকে কম করে ১০০ বিলিয়ন ডলার তোলা আদায় করলেন। এরপর এই দুর্নীতি অভিযান খতম হলো। এই সৌদি রাজপুত্রের ইমান সম্পর্কেও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ, আমেরিকায় তিনি বলেছেন, তার হাতে আধুনিকতা ও প্রগতিশীলতার সে সংস্কার অভিযান শুরু হয়েছে, তা মৃত্যু ছাড়া কেউ বন্ধ করতে পারবে না।

লেখক : গবেষক ও বিশ্লেষক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist