reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০১ এপ্রিল, ২০২৪

ছবিওয়ালা চবিয়ান

প্রকৃতির রূপ-সৌন্দর্য অবলোকন করে ছবি আকারে ক্যামেরাবন্দি করাই যেন তার নেশা। পরিবেশ, প্রকৃতি, নদ-নদীর কলতান, নদীতীরের নৌকা, শিশুদের শৈশব চিত্র, পাখিদের অবাধ বিচরণ, অস্ত যাওয়া সূর্য কিংবা গ্রামীণ জনপদের চিরায়ত সৌন্দর্য- কোনো কিছুই বাদ যায় না তার শিল্পী মন থেকে। ভাঙনকবলিত জনপদ কিংবা জনাকীর্ণ স্থান- সবকিছুই ধরা পড়ে তার ছবির সাম্রাজ্যে। এমনই এক স্বপ্নবাজ ফটোগ্রাফারের সাক্ষাৎকার তুলে ধরেছেন- জিহাদ হোসেন রাহাত

লাইফস্টাইল, ল্যান্ডস্কেপ ও ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির ক্ষুদ্র পরিসরের এই জাদুকরের নাম সাফায়েত হোসেন। ২০১৮ সালে তিনি শুরু করেন ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি। ডিভাইসগত জটিলতায় সে চেষ্টা এক বছরের মাথায় হয় ব্যর্থ। পরে মনোনিবেশ করেন ল্যান্ডস্কেপ ও লাইফস্টাইল ফটোগ্রাফিতে। সাফায়েত বড় হয়েছেন দেশের দক্ষিণের জেলা লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। গ্রামের ছেলে হওয়ায় ফটোগ্রাফিতে তেমন সুযোগ-সুবিধা না পেলেও একেবারেই যাননি দমে। সম্প্রতি সেই স্বপ্নবাজ ছোট্ট সাফায়েত দীর্ঘ প্রচেষ্টায় হয়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া চর্চিত এক ফটোগ্রাফার। নিজের তোলা ছবির জন্য বেশ কয়েকবার কিছু দেশীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা পুরস্কার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং আলোকচিত্রী সম্মাননা পুরস্কারও অর্জন করেছেন তিনি। ডিভাইসগত দুর্বলতা এবং আনুষঙ্গিক কারণে ২০১৮ সালে সাফায়েত ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি ছেড়ে এলেও ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে আবার ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি শুরু করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি সমানতালে ল্যান্ডস্কেপ, লাইফস্টাইল ও ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি যাচ্ছেন চালিয়ে। শখের বশে শুরু করা ফটোগ্রাফিতে পুরস্কার-সম্মাননা অর্জন ছাড়াও নিজ বিভাগ ও অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বন্ধুদের কাছে তিনি একপ্রকার পরিচিতও পেয়েছেন- ছবিওয়ালা চবিয়ান নামে। চবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এই- ছবিওয়ালা চবিয়ানের সঙ্গে আলাপ হয়।

ফটোগ্রাফির সঙ্গে কাজ করার জন্য কোন বিষয়টি আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছিল?

গ্রামের ছেলে হওয়ায় ছোটবেলা থেকে চিরায়ত গ্রামবাংলার রূপ, মানুষের জীবন প্রণালি এবং প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আমাকে আকৃষ্ট করে। তখন থেকে আকৃষ্ট করা মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় বন্দি করার তুমুল আগ্রহ জাগে আমার মনে। সে তীব্র আগ্রহ ও নেশা থেকে ক্যামেরা হাতে তুলে নিয়েছিলাম অল্প বয়স থেকে।

কীভাবে আপনি আপনার কর্ম জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রাখেন?

সত্যি বলতে পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি চালিয়ে যাওয়া দুরূহ ব্যাপার। ফটোগ্রাফি চলমান একটি প্রক্রিয়া। ফেলে রাখলে অকেজো হয়ে যাবে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি যতটুকু সময় পাই সেটা ফটোগ্রাফি করে ব্যয় করার চেষ্টা করি। তবে আশা করি চাকরি জীবনে প্রবেশ করলে পুরোদমে আমি কাজ করে যাব। সঙ্গে ফটোগ্রাফিও চলবে।

কোনটি প্রধান বাধা ছিল, যা আপনাকে অতিক্রম করতে হয়েছিল?

এটা খুবই সহজ একটা বিষয়, ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলাকে কেউ খুব সমাদরে গ্রহণ করবে না। প্রথম দিকে যখন ফটোগ্রাফি শুরু করেছিলাম মানুষ তখন পাগল বলত। তখন শুধু একটাই উত্তর দিতে হতো ‘পাগল না হলে সৃষ্টি করা যায় না’। এ ছাড়া ভালো ডিভাইস ক্রয় করার মতো টাকাও ছিল না। এটিও অন্যতম প্রতিবন্ধকতা ছিল।

ছবিওয়ালা চবিয়ান নামের বিষয়ে আপনি কিছু বলবেন কি?

এটি আসলে বন্ধুদের দেওয়া একটি নাম, যা আমার কাজের জন্য তারা দিয়েছে। তবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক গুণী ফটোগ্রাফার রয়েছেন। তারাও একেকজন ছবিওয়ালা চবিয়ান বলে আমি মনে করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close