বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিনের ব্যবহার ও মৌলিক বিষয়ের ওপর কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অর্থায়নে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্ট্রেট্রিকস বিভাগ।

সার্জারি ও অবস্ট্রেট্রিকস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোমেনা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড মো. আব্দুল আউয়াল এবং প্রশিক্ষণ কোর্সের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা। এ ছাড়া ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন অধ্যাপক ও প্রশিক্ষণার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা জানান, ৬০০ জন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন কর্মকর্তাকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। বাকৃবিতে ১০ ব্যাচে প্রশিক্ষণ দিবে সার্জারি ও অবস্ট্রেট্রিকস বিভাগ। প্রত্যেক ব্যাচে ৩০ জন অংশগ্রহণ করবে। ৩০০ জনকে বাকৃবিতে এবং বাকি ৩০০ জনকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক বলেন, সঠিক রোগ নির্ণয়ে মাঠপর্যায়ে আল্ট্রাসোনোগ্রাম ব্যবহার খুবই কার্যকর। কিন্তু বাস্তবে এ যন্ত্রের ব্যবহারে ভেটেরিনারি সার্জনদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। বর্তমান প্রাণিসম্পদকে অধিকতর উন্নয়ন করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সবাইকে বেশি প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

এ সময় উপাচার্য আরো বলেন, ডিভিএম একটি মৌলিক ডিগ্রি। এটি একটি ফাউন্ডেশন। যে ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়। এজন্য স্নাতকে ব্যাসিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কাউকে বিশেষজ্ঞ তৈরি করে না। এখান থেকে ডিভিএম পাস করেই আল্ট্রাসোনোগ্রাম সঠিকভাবে করতে পারবে না। প্র্যাকটিসের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগবে। যেকোনো কাজে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।

"