ক্যাম্পাস ডেস্ক

  ১৩ জুন, ২০২০

সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ

সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয়ভাবে চীনা ভাষা শিক্ষাদানের ব্যবহারিক দিকের ওপর গবেষণা চালিয়ে ‘বিস্ময়’ চীনা ভাষা শিক্ষার বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এই পরিকল্পনা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের কল্যাণমুখী এবং কথাবার্তার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। সবচেয়ে কার্যকর ও সরাসরি উপায়ে চীনা ভাষায় যোগাযোগের ভূমিকাকে বাস্তবায়ন করছে। ছাত্রছাত্রীরা piûin জানার পর, বেশ কিছু শব্দ বা কথা শেখে, তবে এ ক্ষেত্রে চীনা চরিত্রকে এতটা জানার প্রয়োজন নেই। মুখে শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতে পারে। তারপর ছাত্রদের সখ অনুযায়ি, ‘বিস্ময়’ চীনা ভাষার বিশেষ উপায়ের মধ্য দিয়ে, ছাত্ররা সহজ ও দ্রুতভাবে তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি লাভ করতে পারে। ফলে চীনা ভাষা শেখার প্রতি তাদের আশঙ্কা দূর করে, ‘শোনা, বলা, পড়া ও লেখা’ চারদিকেই সার্বিকভাবে চীনা ভাষার মান উন্নয়ন করে সুষ্ঠুভাবে এইচএসকে পরীক্ষা পাশ করতে পারে। সাংহাই বিশ্ববিদ্যালয়

ভিয়েতনামের একজন দেশীয় বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রী ট্রয়ংহুইথানহ। অনেক দিন ধরে চীনা ভাষা শিখছে ও চীনা ভাষার ‘বিস্ময়’ লাভ করছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর, সেভিয়েতনামের আরেকজন ছাত্রীর সাথে সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে। মাত্র ৬ মাসের প্রশিক্ষণ ও খুব খেটে পড় শোনার মাধ্যমে, তারা সুষ্ঠুভাবে এইচএসকে পরীক্ষায় পাস করেছে।

বিদেশী ছাত্রছাত্রীরা খুব কম সময়েই এইচএসকে পরীক্ষার চীনা ভাষার মানে পৌঁছাতে পারছে কিনা তা হচ্ছে চীনে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের চীনা ভাষা শিক্ষাদান ও গবেষণার প্রধান বিষয়। সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী অফিসের পরিচালক কুওচিয়ানচৌ এর মতে সাধারণত এইচএসকে পরীক্ষার ষষ্ঠ গ্রেডে পৌঁছাতে কমপক্ষে ১ বা দেড় বছর সময় লাগে। সাধারণত গবেষণার বিষয় হচ্ছে ৬ মাস অথবা ১ বছরের পড়াশোনার মাধ্যমে ৪র্থ গ্রেডে উন্নীত করা যাতে যোগাযোগ সমস্যার সমাধান দ্রুত করা যায়। তবে ক্লাসে লেখাপড়ার জন্য তা যথেষ্ট নয়। কারণ সেগুলো সাধারণ ক্লাস নয় এবং তাদের মেজর চীনা ভাষা নয়। জোরালো প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে, শিক্ষাদানের গুণগতমান কড়াকড়িভাবে পালন করা হয় এখানে। এর পাশপাশি ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা শিক্ষাদান কাজের উন্নয়ন এখন অনেক উন্নত। ট্রয়ংহুইথানহ-এর মতে, চীন আসার আগে সে চীনা ভাষা শিখেনি। তবে সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ খুব ভালো বলেই এতো কম সময়েই সে সাফল্যের সঙ্গে বিস্ময় অর্জন করেছে।

সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের চীনা ভাষা শিক্ষাদান কেন্দ্র হিসেবে ‘বিস্ময়’ চীনা ভাষার কাজ হচ্ছে সকল অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের চীনা ভাষা শিক্ষাদানের কাজ সুষ্ঠুভাবে পালন করা। প্রতিষ্ঠার পর ৫ বছর ধরে, ‘বিস্ময়’-এর মাধ্যমে ১ হাজারেরও বেশি সাংহাই-এ চাকরি করা বা লেখাপড়াকরা বিদেশিদের চীনা ভাষার প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে, সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু চীনা ভাষার ওপর প্রশিক্ষণ দেয়। এটা শুধু স্নাতকের জন্য লেখাপড়া করার জন্য নয়।

চীনা ভাষা শিক্ষাদান এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনা ভাষা শিক্ষাদানের যে ব্র্যান্ড এখানে আছে তা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। চীনাভাষা শিক্ষাদানে কিছু দ্রুত উপায়ের ওপর গভীর গবেষণার মাধমে ভিয়েতনামের দুজন ছাত্রী ৬ মাসে এইচএসকে ৬ষ্ঠ গ্রেড পরীক্ষা পাস করেছে।

সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশে সবচেয়ে আগে যৌথভাবে ডক্টরেট ডিগ্রি-কোর্সে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর নিবিড় মনোযোগ দেন এবং সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদানের কাজ ও মানের উন্নয়ন করেন। প্রতিবছর অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের কর্ম সম্মেলনের মাধ্যমে, সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চীনা ভাষা শিক্ষাদানের দ্রুত প্রশিক্ষণের উপায় ও অভিজ্ঞতা গবেষণার মধ্যদিয়ে সংশ্লিষ্ট পা-ুলিপি তৈরি করে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ায় তা দেশের জন্য অবদান রাখে।

চীনা ভাষা ছাড়া, সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিস্ময়’-এর বৈশিষ্ট্যময় বিশেষ শিক্ষাদান পদ্ধতিও রয়েছে। বই ছাপা ও প্রকাশ এবং চিকিৎসা যন্ত্রপাতি হচ্ছে সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্ষেত্র। বই ছাপা হয় সারা দেশে মাত্র দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটি পেইচিং-এ। আরেকটি হচ্ছে সাংহাই-এর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে । সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু শিক্ষাদানের সুযোগ ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনা রয়েছে। ক্যাম্পাসের দৃশ্য খুবই সুন্দর এবং সাংহাই-এর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তম পৌর পর্যায়ের ঐতিহাসিক স্থাপত্য এখানেই রয়েছে। এখন সাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংহাই পৌর পর্যায়ের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close