আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৫ জুলাই, ২০১৭

রাশিয়া নিয়ে ফের চাপে ট্রাম্প

ফের চাপের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপবে রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে-শনিবার এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে মার্কিন কংগ্রেস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি রুশ আগ্রাসনের অভিযোগে পুতিনের দেশকে এক রকম ‘শান্তি’ দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সদস্যদের একাংশ। এই সিদ্ধান্তের জেরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতায় কিছুটা হলেও রাশ টানা হলো, মনে করছেন কূটনীতিকরা।

মস্কোর ওপর থেকে কোনো নিষেধ তুলতে গেলে এখন যথেষ্ট বেগ পেতে হবে ট্রাম্পকে। ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক মাস আগেই সেনেটে পাস হয় ‘ডিস্টেবিলাইজিং অ্যাকটিভিটিজ অ্যাক্ট’। কিন্তু হাউস অব রিপ্রেডেনটেটিভস-এ তা আটকে যায়। কারণ রিপাবলিকানরা উত্তর কোরিয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞাও এই বিলে জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে রাশিয়ার নামও। হাউসের নেতা কেভিন ম্যাকার্থির দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একগুচ্ছ বিলে ভোটদান হবে। সংশিষ্ট দেশগুলো যে যে বিপজ্জনক পদক্ষেপ করেছে, এই বিলগুলোর মাধ্যমে তার দায় চাপানো হচ্ছে তাদের ওপরে।

প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, দায়িত্ব নেওয়ার পরে মাত্র ছয় মাসের মাথায় কোনো নিষেধাজ্ঞা তোলার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ক্ষমতায় এক রকম ‘বেড়ি’ পরাল মার্কিন কংগ্রেস। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন এই বিলে ভেটো দিলেও বড় জ্বালা ট্রাম্পের। কারণ তাতেও জল্পনা বাড়বে যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই তিনি এমনটা করছেন। আর তার প্রশাসন এত দিন যে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে, তার পরিবর্তে কংগ্রেসের সিদ্ধান্তে সায় দিলেও ট্রাম্পের মুখ পুড়বে।

ট্রাম্প যা-ই করুন, মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট সিনেটর বেঞ্জামিন এল কার্ডিন বলছেন, ‘মার্কিন জনতা এবং আমাদের বন্ধু দেশদের তরফে জোট বেঁধে কংগ্রেস এখন পুতিনকে একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছে। আর তাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহায্য দরকার আমাদের।’

সিনেটরদের মতে, এই বিলের মাধ্যমে শুধু মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে না। ক্রিমিয়াকে যেভাবে ‘জবরদখল’-এর পথে হেঁটেছে পুতিন প্রশাসন, মাথায় রাখা হয়েছে সে কথাও। পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন- মার্কিন কংগ্রেসের নজরে ছিল ওই বিষয়গুলোও।

নয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা মস্কোয় পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভকে প্রশ্ন করেছিলেন। বিশদে কিছু না বলে তার উত্তর, ‘অত্যন্ত নেতিবাচক।’ হোয়াইট হাউসও মার্কিন কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist