আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সৌদি রাজপ্রাসাদের কাছে গোলাগুলি : ড্রোন ভূপাতিত
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের সংরক্ষিত এলাকায় রাজপ্রাসাদের কাছে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে এ ঘটনার পর রিয়াদ পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে এটি দূরনিয়ন্ত্রিত একটি খেলনা ড্রোন। আল খাজুমা পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তা সেটি জব্দ করেছেন। ড্রোনটি দেখার পরই পুলিশ যাবতীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে তৎপর হয়।
এ ঘটনা তদন্তে পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে কাজ শুরু হয়েছে বলেও সৌদি সরকার নিয়ন্ত্রিত আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৭টা ৫০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আর কেনই বা ঘটেছে, এতে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
বার্তা সংস্থা থমসন রয়টার্স সৌদি আরবের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এ সময় বাদশাহ সালমান রাজপ্রাসাদে ছিলেন না।
বাদশা দিরিয়ায় তার খামারবাড়িতে ছিলেন, যোগ করেন সৌদি কর্মকর্তা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ওই এলাকায় সামরিক বাহিনীর যানবাহন থেকে আলোর ঝলকানি বের হচ্ছে এবং সঙ্গে প্রচ- গোলাগুলির শব্দ। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ড্রোনটি ভূপাতিত করার জন্য গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনাকে ঘিরে সন্ত্রাসবাদী হামলা, এমনকি অভ্যুত্থানের গুজবও ছড়িয়ে পড়ে বলে রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা আরটির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের জুনে নিজের চাচাতো ভাইকে যুবরাজের পদ থেকে সরিয়ে দিলে আলোচনায় আসেন ৩১ বছর বয়সী মুহাম্মদ বিন সালমান। এরপর থেকেই সৌদি আরবে নানা অর্থনৈতিক ও সংস্কার কার্যক্রম চালাচ্ছেন যুবরাজ। একই সঙ্গে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালিয়ে নানা আলোচনার জন্ম দেন তিনি। গত নভেম্বরে সৌদি আরবে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ২ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে প্রিন্স, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী এবং ধনকুবের ব্যবসায়ীরা ছিলেন। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। যদিও পরে ধীরে ধীরে আপসরফার মাধ্যমে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে অক্টোবরে জেদ্দায় বাদশাহর রাজপ্রাসাদের বাইরে একজন বন্দুকধারী গুলিবর্ষণ করলে ২ নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। এ সময় আহত হন আরো তিনজন। পরে অবশ্য নিরাপত্তা বাহিনী ওই বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করে।
"