নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ মার্চ, ২০২৪

মানুষের গড় আয়ু কমেছে

বিবিএস প্রতিবেদন

দেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল পরিসংখ্যানিকভাবে কমেছে, যা ৭২ দশমিক ৩ বছর। যেটি ২০২২ সালেও ছিল ৭২ দশমিক ৪।

গতকাল রবিবার বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এসডিআরএস ইন ডিজিটাল প্ল্যাটফরম প্রকল্পের আওতায় ২০১২টি নমুনা এলাকা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩-এর গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। ২০২৩ সালে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ৪০৭ শতাংশ।

লিঙ্গ অনুপাত কিছুটা নিম্নমুখী। যা ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েছে ৯৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১,১৭৯ জন। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯ দশমিক ৪, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ দশমিক ৮।

এ সময় প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬ দশমিক ১, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৮। পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন।

জরিপে উঠে এসেছে, মৃত্যুর শীর্ষ ১০ কারণের প্রথম কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ০২৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর হার ০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২৪ দশমিক ২ বছর এবং নারীদের ১৮ দশমিক ৪ বছর। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লীতে আগমনের হার ২০ দশমিক ৪ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩ দশমিক ৪।

২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের (৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ) তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ সালের (১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ হয়েছে। খানার আকার ২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালেও অপরিবর্তিত রয়েছে, যা ৪ দশমিক ২ জন, তবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এটি ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮ দমশকি ৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষ খানাপ্রধান ২০২২ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২৩-এ হার হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২০২৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৫৩ শতাংশে। সাত বছর ও তদুর্ধেŸর বয়সি জনসংখ্যার স্বাক্ষরতার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ১৫ বছর ও তদুর্ধŸ বয়সিদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৪ দশমিক ৪) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ দমশিক ৬ শতাংশ।

এছাড়া, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালের (৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ হয়েছে। ৫+ বয়সি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯৯ শতাংশ। তবে, ১৫+ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩ দশমিক ৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৩ সালে ১৫+ বছর বয়সিদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০ দশমিক ১ শতাংশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close