রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ২২ মার্চ, ২০২৪

রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী

দুর্ভোগ শেষ হলো দৃষ্টিনন্দন সেতুতে

একটি খাল। এর দুই পাড়ে দুটি গ্রাম। এই খাল গ্রাম দুটিকে বিভক্ত করে রেখেছিল দীর্ঘদিন। খালের ওপর ছিল নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকোই ছিল দুই গ্রামের মানুষের ভরসা। অবশেষে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে সেই দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু। আর খালের মাঝ বরাবর বসানো হয়েছে টঙ দোকান। ১৭৫ ফুট দৈর্ঘ্য এবং সাড়ে ৪ ফুট প্রস্থের কাঠের সেতুটি লাল-সাদা রঙ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এটি একনজর দেখতে দূর থেকেও লোকজন আসছেন।

খালের নাম আমলাভাঙা। এর দক্ষিণে দক্ষিণ কাজির হাওলা আর উত্তর পাশে পশ্চিম নেতা গ্রাম। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় দুই গ্রামের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ওই দুই গ্রামের মানুষের পারাপারের জন্য একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে নির্মিত সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সে সময় থেকেই সেতু দিয়ে লোকজনের চলাচল শুরু হয়েছে।

বই-খাতা নিয়ে সেতু পার হচ্ছিলেন পশ্চিম নেতা গ্রামের আরমান। তিনি রাঙ্গাবালী সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি বলেন, ‘সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে আমি একবার পা পিছলে খালে পড়ে গিয়েছিলাম। এরপর থেকে তিন কিলোমিটার ঘুরে কলেজে যেতাম। এখন এই সেতু হওয়ায় মাত্র ১৫ মিনিটে কলেজে যেতে পারছি।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৭৫ ফুট দৈর্র্ঘ্য এবং সাড়ে ৪ ফুট প্রস্থের কাঠের এ সেতু আকর্ষণীয় করতে লাল-সাদা রঙে সাজানো হয়েছে। সেতুর মাঝপ্রান্তে একটি টং দোকান স্থাপন করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এ সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থী শোভন রায়হান বলেন, ‘পথচারী কিংবা দর্শনার্থীরা এখানে চা-কফি, চিপস্-চানাচুর ও বিস্কিট খেতে পারবেন। খালের মাঝখানের টং দোকানে বসে এক কাপ চা-কফি খাওয়া সত্যিই উপভোগের। এই দোকানের কারণে অনেক মানুষ সেতুটি দেখতে আসবে।’

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহম্মেদের উদ্যোগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ১৫ জন শ্রমিক ২৩ দিন ধরে সেতুর নির্মাণকাজ করেন। এতে ব্যয় হয় ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২ লাখ ৮০ হাজার সরকারি এবং ৮৭ হাজার টাকা উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত তহবিলের।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুই পাড়ের অসংখ্য মানুষের যাতায়াত এখানে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে এখানে কাঠের অবকাঠামোর সেতু করে দেওয়া হয়েছে। কংক্রিটের সেতু যাতে করে দেওয়া যায়, আমরা সে ব্যবস্থাই করব।’

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি খাল দুটি গ্রামকে বিভক্ত করে রেখেছিল দীর্ঘদিন। দুই পাড়ে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীসহ দুটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের জন্য সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু করে দিয়েছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close