ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সাগরিকার জোড়া গোলে উড়ন্ত সূচনা বাংলাদেশের

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অনূর্ধ্ব-১৯-এ দারুণ শুরু বাংলাদেশের মেয়েদের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সাইফুল বারী টিটুর দল। খেলায় জোড়া গোল করেছেন মোসাম্মত সাগরিকা। অন্য গোলটি আসে মুনকি আক্তারের পা থেকে।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এদিন ব্যবধান আরো বেশি হতে পারত। বেশকিছু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। সবচেয়ে বড় সুযোগ হাতছাড়া করেছেন অধিনায়ক আফিদা খন্দকার নিজেই। পেনাল্টি মিস করেছেন তিনি। এটুকু বাদ দিলে পুরো সময়টা আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে সাইফুল বারীর শিষ্যরা।

খেলার ৫ মিনিটে ফ্রি কিক নেন স্বপ্না রানী। মাপা শটের ফ্রি কিক নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা তামাংয়ের হাতে লাগার পর বারে আঘাত হানে। ফিরতি শটেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মুনকি আক্তার। এক মিনিট পর বক্সের সামনে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে যান এই ডিফেন্ডার। কিন্তু সামনে থাকা নেপালের গোলরক্ষককে কাটাতে পারেননি তিনি। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষক মুনকিকে আটকে দেন বক্সের মধ্যে। সহজ সুযোগ হাতছাড়া বাংলাদেশের। ১৪ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। বক্সে জটলার মধ্যে গোলে শট নেন পূজা দাস। কিন্তু তার শটটি বক্সের ডান পাশ ঘেঁষে বাইরে দিয়ে যায়। ৪ মিনিট পর ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সাগরিকা। কিন্তু তাকে বক্সের ভেতর আটকে দেন নেপালের ডিফেন্ডার সিমরান রাজ। বাংলাদেশ শিবির পেনাল্টির আবেদন কররেও তাতে কর্ণপাত করেননি রেফারি। এক মিনিট পর গোলের আফসোস মেটাতে পারত বাংলাদেশ। বক্সের সামনে থেকে গোলে শট নেন পূজা। এবারও বক্সের সামান্য ওপর দিয়ে বল বেরিয়ে যায় বাইরে। পাল্টা আক্রমণে ওঠে নেপাল। কিন্তু সতর্ক ছিলেন স্বাগতিকদের রক্ষণভাগ।

৩৫ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন মুনকি। তাকে দেখে বক্সে ঢুকে পড়েন স্বপ্না। দুজনকে পাস কাটিয়ে তাকে ক্রস দেন মুনকি। কিন্তু জটলার মধ্যে শট নিতে দেরি করে ফেলেন স্বপ্না। খানিক পর আবারও আক্রমণে বাংলাদেশ; মাঝ মাঠ থেকে একাই বল নিয়ে বক্সে ঢোকেন সাগরিকা। এবারও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল মিস করে বাঘিনিরা। সেই আক্ষেপ মেটাতে একটু পরেই। ৩৮ মিনিটে ফের বল নিয়ে উপরে উঠেন সাগরিকা। কিন্তু বক্সে তিনি পাস পূজাকে। তার শটটি অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়।

৪০ মিনিটে নেপালের গোলরক্ষককের ভুল কিকে বল পেয়ে যান স্বপ্না। দুর্দান্ত হেডে বল বাড়িয়ে দেন সাগরিকাকে। দুজন ডিফেন্ডার কাটিয়ে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি বাঘিনিদের নাম্বার টেন। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দুই মিনিট পর বক্সের ডানপ্রান্তের অনেকটা বাইরে সাগরিকাকে পাস দেন মুনকি। গোলের একদম সামনে থেকে আলত টোকায় বল জালে জড়িয়ে দলের লিড দ্বিগুণ করেন তিনি।

বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সামনে আসে আরো বড় সুযোগ। ৪৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। কিন্তু স্পট কিক নিতে এসে অধিনায়ক আফিদার শট লাগে বারে। ফিরতি শট নেন সাগরিকা। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন গোলরক্ষক সুজাতা। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জুনিয়র বাঘিনিরা।

বিরতির পরও একের পর এক গোল মিসের হতাশায় ডুবেছে বাংলাদেশ। তবে ৫৬ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল পেয়ে যায় নেপাল। মাঝ মাঠ থেকে গোলে শট নেন বদলি হিসেবে নামা নেপালের পুনম চেমজং। বল ধরতে বাইরে বেরিয়ে আসেন বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক স্বর্না রানী মন্ডল। কিন্তু তার বল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই আলত টোকায় বাংলাদেশের জাল কাঁপিয়ে দেন প্রতিপক্ষের নাম্বার নাইন সুকরিয়া মিয়া। ব্যবধান ২-১ নামিয়ে আনে নেপাল।

এক মিনিট পরই ফের এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান ইতি খাতুন। সামনে থাকা সাগরিকাকে বল বাড়িয়ে দেন তিনি। দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢোকেন অপ্রতিরোধ্য সাগরিকা। সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক। তাকে পরাস্ত করে শট নেওয়ার আগে পেছন থেকে সাগরিকার জার্সি টেনে ধরেন মায়া মাস্কে। কিন্তু দুর্দান্ত সাগরিকাকে আটকে রাখা যায়নি। বা পায়ের শটে ফাঁকা গোলে বল জড়ান তিনি। তার জোড়া গোলে লিড ৩-১ করে বাংলাদেশ। বাকি সময় জালের দেখা পায় ?দুদলের কেউই। বাকি সময় জলের জালের দেখা পায়নি দুদলের কেউ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close